যশোরের মাটিতে স্বাগতম প্রধানমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, আজ যশোরের মাটিতে স্বপ্ন বুননের দিন। আজ এ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন পূরণের দিন। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পর আজ যশোরে আসছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি করোনাকালীন অচলাবস্থার পর ঢাকার বাইরে এই প্রথম জনসভায় সরাসরি ভাষণ দেবেন। এর আগে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এক বিশাল জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ঢাকার বাইরে যেমন প্রথম যশোর স্টেডিয়ামের জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন, তেমনি জাতির পিতার মেয়ে শেখ হাসিনাও করোনাকালীন অচলাবস্থা শেষে ঢাকার বাইরে প্রকাশ্য জনসভার তালিকার এক নম্বরে রেখেছেন যশোর। দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ২৪ নভেম্বর যশোর, ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম এবং ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সমাবেশে সশরীরে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সেই দিন। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত যশোরবাসী। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার যশোরে আসছেন তিনি। এদিন দুপুরে তিনি যশোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে উৎসবের শহরে পরিণত হয়েছে যশোর। শহরের অলিগলি থেকে গ্রামের রাস্তাঘাটে চলছে মাইকিং।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে আশায় বুক বেধেছেন যশোরবাসী। যশোর ৫০০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, যশোর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিককরণ, ভবদহ জলাবদ্ধতা দূর ও যশোরকে সিটি করপোরেশন ঘোষণাসহ নানা দাবিতে মুখর স্থানীয়রা। তবে নেতৃবৃন্দ বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কিছু চাওয়া লাগেনা, তিনি না চাইতেই দেন। তিনি সাধারন মানুষের বুকের ভেতর থাকা আকাঙ্খার কথা বুঝতে পারেন। কারণ, তিনি বিশ্ব মানবতার মা। তিনি না চাইতেই দিয়েছেন অনেক কিছুই। স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও কালনায় মধুমতি সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।

ফলে যশোরসহ এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক, সামাজিক অবস্থা এবং মানুষের জীবনযাত্রায় উন্নয়ন ঘটেছে। এ উন্নয়ন ও দিন বদলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ যশোরে আসছেন, এটিই অনেক বড় পাওয়া। তাঁকে বরণ করতে এবং তার মুখে আগামীর বার্তা শুনতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন যশোরবাসী। যশোর স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার আজকের জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপ দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন নেতৃবৃন্দ।

আরো পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রী এখন যশোরে

সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চালিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। দক্ষিণ-পশিচমাঞ্চলের অন্যতম বর্ষীয়ান রাজনীতিক শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বর জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ দফায় দফায় যশোরে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করেছেন, উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন।

তাদের সাথে সমন্বয় করে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, এমপি শাহীন চাকলাদার, এমপি রণজিত কুমার রায়, এমপি শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সহ সভাপতি ও যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, পৌর মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ, সহ সভাপতি আব্দুল খালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী, সাবেক পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুসহ নেতৃবৃন্দ। মূল স্পট যশোর স্টেডিয়াম হলেও গোটা যশোর হবে লোকে লোকারণ্য। সাধারন মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাবেশে যোগ দিতে পারে তার সব বন্দোবস্ত করা নেয়া হয়েছে।

ডিসেম্বর ২৪.২০২১ at ১৩:৩৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর