কুবিতে কলা ও মানবিক অনুষদের বার্ষিক সেমিনার অনুষ্ঠিত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবিতে) কলা ও মানবিক অনুষদের উদ্যোগে ‘সাহিত্যে পড়া, শেখানো এবং গবেষণা’ শীর্ষক বার্ষিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে । মঙ্গলবার ( ২২ নভেম্বর) বিজ্ঞান অনুষদের হলরুমে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন সুলতানার ও বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলামের সঞ্চালনায় কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম মাওলার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। এ ছাড়া কী-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ও কথা সাহিত্যিক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

আরো পড়ুন :
ঘোড়াঘাটে দুই গরু চোরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা রিসার্চ, মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থাকে অস্বীকার করতে পারে না। এই ধরনের কর্মশালা শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের রিসার্চে জড়িত থাকাতে উৎসাহ দেয়। রিসার্চ ছাড়া ভালো শিক্ষকও হওয়া যায় না। এই ধরনের কর্মশালার মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তুলবে। তিনি আরও বলেন, শুধু রিসার্চ করলে হবে না রিসার্চ প্রকাশও করতে হবে। তার সাথে সাথে শিক্ষা কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে র‍্যাংকিংয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

নোট স্পিকারের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, যেটা জানলে মনের রসায়ন হয় সেটা আমরা জানবো।মনের রসায়ন হয় সাহিত্যের মাধ্যমে।সাহিত্য পরিবর্তন ঘটায় ন্যায়ের, অরাজকতার পক্ষে।সাহিত্য স্থিতি ঘটায় মনের,স্পর্শ করে জীবনকে। সাহিত্যের গবেষণা হবে নিজের পক্ষে থাকতে হবে স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি।গবেষণার ক্ষেত্রে প্রয়োগ ঘটাতে হবে শুভ অশুভকে।পড়াশোনার পাশাপাশি চিন্তা করার ক্ষমতা থাকতে হবে।

সেমিনারে কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম মাওলা বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরে আমরা কাঠামোগত উন্নয়ন দেখেছি। কিন্তু একাডেমিক উন্নয়ন অর্থাৎ একটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেশ ও জাতির উন্নয়ন এবং আস্থাশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে এখনো হয়নি। আমাদের এই সেমিনারগুলো দরকার কারণ আমাদের এখনো রিসার্চ, এডুকেশনাল জ্ঞানের উদ্ভাবন ও জ্ঞানের বিতরণের জন্য এধরণের সেশনগুলো দরকার। আমরা আমাদের ঐতিহ্যে আসক্ত হয়ে পড়েছি। আমাদেরকে এই আসক্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

উল্লেখ্য, দুইটি অধিবেশনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম অধিবেশনে ইংরেজি বিভাগের প্রধান ড. বনানী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রাবন্ধিক ও ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক কাজী ফাখেরা নওশীন। দ্বিতীয় অধিবেশনে বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জি এম মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রাবন্ধিক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম মাওলা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রপরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান, বাংলা ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

ডিসেম্বর ২২.২০২১ at ১৬:১৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর