তিন বছর ধরে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক মাসুদ কারাগারে

মোবাইল ফোনে ধারণ করা অশ্লীল ভিডিও ভাইরালের হুমকি দিয়ে তিন বছর ধরে ছাত্রীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে এক স্কুলশিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক জামিন আবেদন করলে রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. মাসুদ সরকার (৫০)। সে উপজেলার মৌগাছী বাটুপাড়া এলাকার মৃত সিদ্দিক সরকারের ছেলে। রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার বাটুপাড়া কারিগরি ও বাণিজ্যিক ইনস্টিটিউটের ড্রেস মেকিং অ্যান্ড টেইলারিংয়ের শিক্ষক।

আরো পড়ুন:
বাংলাদেশে এক সহ-অভিনেতাকে চড় মেরেছিলেন নোরা ফাতেহি

ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষক ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ওই ছাত্রীকে তার প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে বলে। তার কথামতো ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ‘ড্রেস মেকিং অ্যান্ড টেইলারিং’ বিষয়ে ভর্তি হন ভুক্তভোগী। ভর্তির পর ওই শিক্ষক ভুক্তভোগীর বাড়িতে প্রায়ই আসতো। ২০১৯ সালের ১০ মে দুপুর আড়াইটায় ভুক্তভোগীকে নোট দেওয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে তার (অভিযুক্ত) বাসায় ডেকে নেয়। এ সময় মাসুদ ভুক্তভোগীকে বাড়ির দোতলায় শয়নকক্ষে নোটগুলো রাখা আছে বলে জানায়।

সেখানে নোট নেওয়ার জন্য গেলে অভিযুক্ত শিক্ষক পিছু পিছু শয়নকক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করে তাকে। একইসঙ্গে এর চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলিং করতে থাকে। এরপর তিন বছর ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় সে। রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সৈয়দা শামসুন্নাহার মুক্তি জানান, আসামি জামিনের আবেদন করেছিল। আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এ সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল। পরে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ডিসেম্বর ২২.২০২১ at ১২:৫১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর