শ্যামনগরে সুন্দরবন ড্রিকিং ওয়াটার প্লান্ট এর চুক্তি সম্পাদন

আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বের, ২০২২) বিকাল ৩:০০ টায় লিডার্স প্রধান কার্যালয়ে সুইচ কনট্রাক্ট এর আয়োজনে এবং বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর সহযোগিতায় শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সেন্টার কালিনগরে সুন্দরবন কমিউনিটি ড্রিংকিং ওয়াটার প্লান্ট এর চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠান এর আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লিডার্স এর নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) চিত্তরঞ্জন মৃধা, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে সুন্দরবন কমিউনিটি ড্রিংকিং ওয়াটার প্লান্ট এর চুক্তি সম্পাদন পত্র হস্তান্তর করেন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা।

আরো পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রচারণা চালাচ্ছেন গিলবার্ট নির্মল বিশ্বাস

আরও উপস্থিত ছিলেন সুইচ কন্ট্রাক্ট এর প্রজেক্ট অফিসার সাঈদুল আরেফীন, মোঃ আশরাফ, সাংবাদিক বেলাল হোসেন, উদ্যোক্তা মো. আফজাল হোসেন সহ সুজিত মন্ডল, পারুল মন্ডল, ঊমা রানী, রহিমা খাতুন, লিডার্স এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা অসিত মন্ডল, প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. শওকত হোসেন প্রমূখ। উল্লেখ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র পানি সংকট বেড়েছে। নদীভাঙন জনিত বন্যা, চিংড়ি চাষ, ভুগর্ভস্থ পানির লবনাক্ততার কারনে গত কয়েক বছরে সুন্দরবন এলাকায় সুপেয় পানির সংকট বেড়েছে। সুন্দরবন উপকুলে ৭৩% পরিবার সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত বা খারাপ পানি খেতে বাধ্য হয় । জীবিকা দুর্বলতা সূচক এবং পানি সম্পদ সূচকে সবচেয়ে উপরে রয়েছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা ।

উপকূলীয় এলাকায় সরকারী বেসরকারীভাবে যেসকল পানি প্রযুক্তি স্থাপন করা হয়েছে সেগুলি উৎস্য নষ্ট হওয়া, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা, প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ জটিলতার কারনে পানি সংকট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদে কার্যকরী হচ্ছে না। এইমুহুর্তে রিভার্স অসমোসিস লবনাক্ত পানিকে নিরাপদ পানি হিসাবে পানযোগ্য করার একটি সফল কার্যকরী পানি প্রযুক্তি। উপকূলীয় এলাকার পানি সংকট প্রবণ এলাকার মধ্যে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সেন্টার কালিনগরে সুইচ কনট্রাক্ট এর আয়োজনে এবং বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর সহযোগিতায় রিভার্স অসমোসিস স্থাপন করার পরিকল্পনা করেছে।

এই পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট এর মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ৪০০০ লিটার সুপেয় পানি জনগণের মাঝে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, “পানির অপর নাম জীবন। উপকূলের এই সংকট কাটিয়ে উঠতে এমন ধরনের প্রযুক্তি খুবই প্রয়োজন। কিন্তু এই প্রযুক্তি শুধু স্থাপন করলে হবে না। এটিকে দেখভাল করারও প্রয়োজন আছে। সেন্টার কালিনগরে যে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা এটিকে সংরক্ষণ করবেন এবং পরিচালনা করবেন। চুক্তিপত্রে উল্লেখিত বিষয় অনুযায়ী কমিটি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে প্রত্যাশা করছি।”

ডিসেম্বর ২১.২০২১ at ১০:০০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর