মহম্মদপুরে রুনা নামের এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যু

মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের নহাটা গ্রামর তালাকপ্রাপ্ত রুনা বেগম (৪০) নামের এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। মামলা নং ৪৬। রবিবার সকালে রুনার বাড়ীর পশ্চিম পাশে এবং রুনার সাবেক স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মনির মৃর্ধার বাড়ীর পুকুরের পূর্ব পাড়ে বাঁশ ঝাড়ে বাঁশের সাথ উড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে মহম্মদপুর থানা পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ এসে রুনার লাশ উদ্ধার করে।

আরো পড়ুন:
পাইকগাছায় স্কুল শিক্ষককে মারপিট, থানায় অভিযোগ দায়ের

মাগুরা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ, মহম্মদপুর ওসি অসিত কুমার রায়সহ পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সুত্র জানায়, রুনার প্রথম পক্ষের (ঝড়ু মৃর্ধা) ছেলে মেয়েরা বলেন, তাদের মা রুনা বেগম গত ১৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়ী থেকে বের হয়। পরে শুক্রবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তারা আরো বলেন তাদের মা মাঝে মধ্যেই সাবেক স্বামী প্রতিবেশী মনির মৃর্ধার কাছে যেত।

এদিকে রুনার সাবেক স্বামী মনির মৃর্ধা জানায়, রুনার সাথে আমার ২০২০ সালের আগষ্ট মাসে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তালাকের পর থেকে সে আমাকে বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে বিরক্ত করত। কিন্তু আমার তার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ ছিলোনা বা নেই। আরো জানা যায়, রুনা গত ৪ নভেম্বর একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। যার নাম রাখা হয়েছে জয় মৃর্ধা। রুনা তার ফেসবুকে ছেলে জয়ের ছবি পোষ্ট করে তার পিতার নাম মনির মৃর্ধা বলে দাবি করেন।

রুনা ঝড়ু মৃর্ধাকে প্রথম বিয়ে করেন। ৪ মেয়ে এবং ১ ছেলে সন্তান হওয়ার পর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এর পর একাধিক বিয়ে ও নহাটা ইউপি’র সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে এলাকার সর্বসাধারণের কাছে আলোচিত হয়ে ওঠে রুনা। এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ বোরহান-উর ইসলাম বলেন, রুনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন খুজে পাওয়া যায়নি।

তবে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওসি অসিত কুমার রায় জানান, অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ডিসেম্বর ২১.২০২১ at ১৬:৪০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর