জঙ্গি ছিনতাই: মাস্টারমাইন্ড মেজর জিয়া

ঢাকার নিম্ন আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার সঙ্গে জড়িতরা সবাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বলে জানিয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। সিটিটিসি জানায়, এ ঘটনায় মেজর (বরখাস্ত) জিয়া ছিলো মাস্টারমাইন্ড। সিটিটিসি কর্মকর্তারা বলছেন, আনসার আল ইসলাম কখনো রেকি ছাড়া পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া কোনো কিছু করে না। যেখান থেকে জঙ্গি দুই আসামি ছিনতাই করা হয়েছে, সেখানেও ছিলো না সিসিটিভি। ছিনতাইয়ে আনা হয়েছিল কাটার ও হাতকড়া খোলার চাবিও। ফেলে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলসহ ঘটনাস্থল থেকে কাটার ও হাতকড়া উদ্ধার করার পরই এমন ধারণা করছেন সিটিটিসির কর্মকর্তারা।

আরো পড়ুন:
টঙ্গীতে মাদক, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং ও কিশোর গ্যাং বন্ধে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান

সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গিসহ জড়িতদের প্রত্যেককে শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে ডিএমপি, ডিবি, সিটিটিসিসহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিট। পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ এজাহারে উল্লেখ করেন, জঙ্গি আরাফাত রহমান ও আব্দুর সবুর রাজু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। পলাতক জঙ্গি মেজর জিয়ার পরিকল্পনা মোতাবেক আদালতের কার্যক্রম শেষে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে চারজনকে ছিনিয়ে নিতে হবে বলে নির্দেশ ছিলো। দুজন পালাতে পারলেও অন্যরা আটকে যান।

পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দুটি মোটরসাইকেলে পাঁচ-ছয়জন এবং আদালত প্রাঙ্গণে ১০-১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য অবস্থান নেন। সিটিটিসিসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পেয়েছে।প্রসঙ্গত, রবিবার বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায় ও জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী প্রকাশক ফয়সল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই সারা দেশে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। সীমান্তে নেয়া হয় বাড়তি সতর্কতা।

ডিসেম্বর ২১.২০২১ at ১৬:১০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর