ফেলে যাওয়া নবজাতকের স্বজনদের সন্ধান মিলেছে, যশোর জেনারেল হাসপাতালে

গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগে নবজাতকটিকে রেখে যায় তার নানী। এরপর দুপুর তিনটার দিকে ওই নারী আবারো ওয়ার্ডে আসে এবং বাচ্চাটির শরীর একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে ফের চলে যান। এরপর আর তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্বজন পাওয়া না যাওয়ায় দায়িত্বরত সেবিকরা বাচ্চাটিকে চিকিৎসা দেন। প্রায় ২৪ ঘন্টা পর শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ফিরে আসেন নবজাতককে রেখে যাওয়া সেই বৃদ্ধা নারী। তিনি জানান, শিশুটির মা এই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

আরো পড়ুন:
অনুশীলনে ছিলেন না মেসি কোথায় ছিলেন মেসি

নবজাতকটি অপুষ্ট হওয়ায় শিশুটা রেখে গিয়েছিলেন। আর তিনি মেয়ের কাছেই ছিলেন। এ নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটবে তা তারা বুঝতে পারেননি। নবজাতকের নানী নাহার বেগম বলেন, নবজাতকটি জন্মানোর পরে চিকিৎসকরা শিশু ওয়ার্ডে রাখার কথা বলেছিলেন। যে কারণে আমি শিশুটিকে শিশু ওয়ার্ডে রেখে আসি। মেয়েকে দেখার কেউ ছিল না তাই আমি মেয়ের পাশেই ছিলাম। বৃহস্পতিবার দুপুরেও শিশুটিকে দেখে আসি।

পরে আরো কয়েকবার শিশু ওয়ার্ডে গেলেও দরজা বন্ধ থাকায় ঢুকতে পারিনি। আজ সকালে শিশু ওয়ার্ডে আসলে সবাই শিশুটি ফেলে যাওয়ার ঘটনা জানায়। আমরা শিশুটিকে ফেলে যায়নি। লোক না থাকায় ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। নবজাতকের মা কাকলি বেগম বলেন, এটা আমার পঞ্চম কন্যা সন্তান। বাচ্চা হওয়ার পরে আমি দীর্ঘ সময় অচেতন ছিলাম। বৃদ্ধ মা ছাড়া আমাকে দেখার কেউ হাসপাতালে নেই। এই ওয়ার্ডের নার্সরা যদি একটু সহযোগিতা করতো তাহলে এমন কিছু হতো না। আমার নাড়ি ছেঁড়া ধনকে আমি কেন ফেলে যাব।

শিশুটির স্বজন খুঁজে পাওয়ায় খুশি ওয়ার্ডে থাকা অন্যান্য রোগীর স্বজনরাও। এদিকে অপূষ্ট অবস্থায় জন্ম নেয়া শিশুটির বর্তমান অবস্থা মোটামুটি ভালো। যে কোন সময় এ ধরনের শিশু আশঙ্কাজনক অবস্থায় যেতে পারে। যে কারণে শিশুটিকে সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডা. মাহবুবুর রহমান। নবজাতকটি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পরানপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম ও কাকলি বেগম দম্পতির পঞ্চম কন্যা সন্তান।

নভেম্বর ১৯, ২০২২ at ২০:৪৭:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস