লালপুরে ফুটবল বিশ্বকাপের উল্লাসে মেতে উঠেছে ফুটবল প্রেমী মানুষেরা

আগামীকাল ২০ নভেম্বর কাতারে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। ফুটবল বিশ্বকাপ কে সামনে রেখে মেতে উঠেছে নাটোরের লালপুর উপজেলার তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী, নবীন-প্রবীনসহ সকল বয়সী ফুটবল প্রেমীরা। বিশ্বকাপ শুরুর দিন যত ঘনিয়ে আসছে বাড়ছে সমর্থকদের মাঝে ততো উত্তেজনা। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উচ্ছাসে মেতেছে লালপুরের ফুটবল প্রেমী মানুষরা। উপজেলা সদর থেকে পাড়া গায়ের আনাচে-কানাচে ছেয়ে গেছে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল আর জার্মানির পতাকায়। এমন কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও চলছে জোর প্রতিযোগিতা। যে যার মতো প্রিয় দলের পতাকা পড়া ছবি পোষ্টের হিরিক পড়েগেছে ফেসবুকে।

আরো পড়ুন:
পাইকগাছায় শিরিস গাছের ডালের আঠা সংগ্রহে হিড়িক পড়েছে

যদিও বাংলাদেশ বিশ্বকাপে নেই। তারপরও ফুটবল বিশ্বকাপের উল্লাসে মেতে উঠেছে এই অঞ্চলের মানুষ। শুধু পতাকা আর জার্সি পরেই সিমাবদ্ধ নেই। বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখে গত ১৪ তারিখে উপজেলার ধুপইল হাই স্কুল মাঠে আর্জেন্টিনার আর ব্রাজিল সমর্থকদের মধ্যে খেলাও হয়ে গেছে। খেলায় ২-১ গোলে ব্রাজিল সমর্থকদের পরাজিত করেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে পাড়া গ্রামের ফুটবল পাগল দর্শকের পছন্দের দলের পতাকা শোভা পাচ্ছে রাস্তার পাশে, বাড়ির ছাদে, দোকানে এমনকি গাছের মাথাতেও। আর এই পছন্দের দলের পতাকা পৌঁছে দিতে বাঁশের লাঠির মাথায় বিশ্বকাপে অংশগ্রহনকারী দলের বিভিন্ন আকারের পতাকা বেঁধে রাস্তার মোড়ে, অলিতে গলিতে পতাকা বিক্রয় করছেন ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা। ওয়ালিয়া বাজের এমনই এক পতাকা বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। তার নাম ইমরান আলী। বাসা ফরিদপুর এলাকায়। সে ইলিয়াস আহম্মেদ ইউনিভার্সিটির অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।

পড়ালেখার পাশাপাশি পতাকা বিক্রয় কতে এখন সে লালপুরে এসেছে। বিভিন্ন সাইজ এবং কোয়ালিটি ভেদে তার কাছে প্রতিটি পতাকা দশ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পতাকা বিক্রেতা ইমরান জানান, তার কাছে এবার সবচেয়ে বেশি পতাকা বিক্রি হয়েছে আর্জেন্টিনার। এর পরে ব্রাজিল আর জার্মানির। এছাড়া অন্যান্য কয়েকটি দেশের পতাকাও কমবেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি । তিনি আরো বলেন সব চেয়ে বেশি পতাকা কিনেছেন তরুণরা। উপজেলার ওয়ালিয়া বাজারে কথা হয় ইমরান আলীর মতো আর এক পতাকা বিক্রেতা খালেদের সঙ্গে। তার বাসা পাবনার দাশুড়িয়ায়। ইমরানের মতো তিনিও একই কথা বলেন। এদিকে পতাকা কেনার পাশা-পাশি উপজেলার দর্জি পাড়াতে দীর্ঘ পতাকা বানানোরও প্রতিযোগিতা চলছে।

বাংলাদেশ বিশ্বকাপে খেলছে না। তারপরও কেন এই উন্মাদনা..? জানতে চাইলে স্থানীয়রা বলছেন, আমরা ফুটবল পাগল। তাই বিশ্বের যেখানেই ফুটবল খেলা হোক, তা নিয়ে আমাদের আগ্রহ বেশি থাকে। আমরা স্বপ্ন দেখি, বাংলাদেশও একদিন বিশ্বকাপে খেলবে। শুধু তাই নয় প্রিয় দল জিতলে এবার আরো অনেক কিছু দেখা যাবে। ভুড়িভোজের আয়োজন করবেন অনেকেকই। রাস্তায় ব্যান্ড বাজিয়ে পতাকা নিয়ে মিছিলও হবে বলেও জানান তারা। কথা হয় রনি আহম্মেদ নামের এক আর্জেন্টিনার সমর্থকের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ফুটবল খেলাকে ভালোবাসি ছোট থেকে নিজে এলাকায় ও স্কুলে ফুটবল খেলি। আর্জেন্টিনার খেলা আমার পছন্দ।

মারাদোনার খেলা দেখে ছোট থেকে আর্জেন্টিনার ভক্ত হয়েছি। জিতলেও আর্জেন্টিনার হারলেও আর্জেন্টিনার। তাই প্রিয় দলের জন্য পতাকা টাঙ্গিয়েছি জার্সিও কিনেছি। ব্রাজিলের সমর্থক মনা আহম্মেদ বলেন,‘এবার দিয়ে ৪বার বিশ্বকাপ ফুটব খেলা দেখছি। ছোট থেকে আমি ব্রাজিলের সমর্থক। ব্রাজিলের খেলা আমার ভালো লাগে। আগেও ব্রাজিল ছিলাম আগামিতেও ব্রাজিলই থাকবো।

নভেম্বর ১৯, ২০২২ at ১৭:৪৪:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস