শুক্রবার সিলেটে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ইজতেমা

সকল বাধা বিপত্তির মধ্যে দিয়ে ‘আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’র ৭৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী ইজতেমা-২০২২ আখেরি মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ আখেরি মুনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন মুসল্লিরা। মুনাজাত পরিচালনা করেন সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম, আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুফতি মাওলানা রশীদুর রহমান ফারুক বর্ণভী।

আরো পড়ুন:
বিশ্বব্যাপী আয় ছাড়িয়েছে ৫০০ কোটি রুপি, যে ছবির

এর আগে শুক্রবার ভোর থেকে দিক নির্দেশনা মূলক বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ দিন। আখেরি মুনাজাতে ইতজেমাস্থলের আশপাশ এলাকাসহ সিলেট মহানগরের হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন। সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের পারাইচকে কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনালে অনুষ্ঠিত এ ইজতেমায় অর্ধ লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম ঘটে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বাদ ফজর থেকে শুরু হয় এ ইজতেমা। দুদিন ব্যাপী এ ইজতেমায় ইসলামী জীবন যাপন অনুসরণ ও আত্মশুদ্ধি অর্জন বিষয়ে বয়ান পেশ করেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শতাধিক ওলামা-মাশায়েখ ও বুদ্ধিজীবীগণ। বহিঃবিশ্বের একাধিক ইসলামিক স্কলারও এতে অংশগ্রহণ করেন।

বৃহস্পতিবার বাদ ফজর আমিরে আঞ্জুমানের উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক সূচনা হবার পর থেকে (১৮ নভেম্বর) শুক্রবার সকাল ১০ টায় আখেরি মুনাজাত পর্যন্ত মোট সাতটি অধিবেশনে দেশ-বিদেশের শীর্ষস্থানীয় শতাধিক ওলামা-মাশায়েখ বয়ান পেশ করেন। সাত অধিবেশনে ধাপে ধাপে সভাপতিত্ব করেন সিলেটের শীর্ষস্থানীয় ওলামা-মাশায়েখ। বয়ান করেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কিংবদন্তি সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ (ভারত)-এর বর্তমান মহাসচিব আল্লামা সাইয়্যিদ মাহমুদ মাদানী, ভারতের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি বিদ্যাপীঠ শাহি মুরাদাবাদ মাদরাসার প্রিন্সিপাল আল্লামা সাইয়্যিদ আশহাদ রশিদী।

মাওলানা আব্দুল আউয়াল নারায়ণগঞ্জ, মাওলানা আব্দুর রহমান হাফিজ্জী মোমেনশাহী, মাওলানা আব্দুল মালিক পীর সাহেব ভোলা, মাওলানা আকরাম আলী পীর সাহেব বাহাদুরপুর, মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররামের খতীব মুফতি রুহুল আমীন, ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইন চট্টগ্রাম, ড. মুশতাক আহমদ ঢাকা, মাওলানা উবায়দুর রহমান বরিশাল, মাওলানা আবদুল মতীন বিন হুসাইন পীর সাহেব ঢালকানগর, মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, মাওলানা ইসমাঈল নুরপুরী নরসিংদী, মাওলানা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী, মাওলানা হামিদ জহিরী ঢাকা, মাওলানা মুশতাক আহমদ খুলনা, মাওলানা মুশতাকুন নবী কাসিমী, মাওলানা নুরুল হুদা ফয়জী বরিশাল।

চট্টগ্রাম পটিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ, হাটহাজারী মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা আলী আকবর কাসিমী ঢাকা, মাওলানা আবু সাবের আবদুল্লাহ ঢাকা, মাওলানা আহমদ মায়মূন ঢাকা, মাওলানা আহমদ আলী কাসিমী, ড. শহীদুল্লাহ উজানী, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান পীর সাহেব দেওনা, মাওলানা শামসুদ্দীন কাসিমী জামালপুর, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী ঢাকা, মাওলানা মুহাম্মদ আলী সিরাজগঞ্জ, মাওলানা ইমাম হুসাইন সিরাজগঞ্জ, মুফতি ফয়জুল্লাহ ঢাকা, মাওলানা আব্দুল বাসিত খান সিরাজগঞ্জ, মুফতি আবুল বাশার নুমানী ঢাকা, মুফতি জসিম উদ্দীন ঢাকা, মাওলানা জুবায়ের আহমদ ঢাকা। এ ছাড়াও শীর্ষস্থানীয় আরও অনেক উলামায়ে কেরাম বক্তব্য রাখেন।

ডিসেম্বর ১8.২০২১ at ১৪:৪০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর