শীতকালে রোদ পোহানো আরামদায়ক হলেও এর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে মারাত্মক বিপদ

শীতের কনকনে ঠাণ্ডাকে সবাই ভয় পাই। তাই একটু আরামের জন্য সুযোগ পেলেই আমরা রোদে এসে একটু উত্তাপ নেওয়ার চেষ্টা করি। শরীরের জন্য শীতের রোদ আরামদায়ক হলেও ত্বকের জন্য মোটেও ভালো নয় কারণ বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে শীতের রোদে ক্ষতিকর প্রভাব বেশি থাকে। রোদের প্রখরতা কম থাকায় শীতের রোদে সবাই একটু বেশি সময় কাটায়। ফলে শীতের রোদে ত্বকের ক্ষতিও বেশি হয়।

আরো পড়ুন:
বেনাপোলে ৯৪ কোটি টাকায় নির্মিত হচ্ছে কার্গো টার্মিনাল

শুধু সকালেই নয়, শীতের সময় দুপুর কিংবা বিকালেও অনেকে গায়ে রোদ লাগাতে পছন্দ করেন বা গায়ে রোদ মেখে আরাম পান। আর তাই শীতে কেউই রোদ এড়িয়ে চলতে চান না। এ সময় অনেককেই দেখা যায় রিকশার হুড না তুলে পথ চলছেন। রাস্তায় রোদের মধ্যে পথচারীদেরও পথ চলতে তেমন দ্বিধা থাকে না। শীতে এসব দৃশ্যের পেছনে কারণ একটাই, আর তা হচ্ছে শীতের মিষ্টি রোদ থেকে উষ্ণতা আহরণের আকাক্ষা।

দীর্ঘ ক্ষণ রোদে থাকলে কোলাজেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে ত্বক পাতলা হয়ে আসে। আর ত্বক পাতলা হয়ে গেলেই দেখা যায় বলিরেখা ও চোখের তলায় ভাজ পড়ার মতো সমস্যা। এই ধরনের সমস্যা আটকাতেও মোক্ষম হাতিয়ার হতে পারে সানস্ক্রিন। গরমকালে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যায় আর শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যায়। গরমে ঘাম হয় আর শীতকালে শুকিয়ে খসখসে হয়ে যায় ত্বক। শুষ্ক ত্বকে বাড়ে বলিরেখা।

ভাল-খারাপ নিয়েই শীতের রোদ্দুর। বিদেশে স্কিন ক্যানসারের জন্য ‘রোদ পোহানো’ অনেকাংশেই দায়ী। চামড়া ট্যান করার নেশায় বিদেশিরা দীর্ঘক্ষণ স্বল্প পোশাকে রৌদ্রস্নান করেন। এ দেশে অবশ্য স্কিন ক্যানসারের রোগী হাতেগোনা। তবু সাবধানের মার নেই। দীর্ঘক্ষণ টানা রোদে না বসাই ভাল। ত্বক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, শীতের সময় বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকায় অতিবেগুনি রশ্মি সহজেই ত্বকের সংস্পর্শে পৌঁছে যায়।

জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় বছরের অন্য সময় আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির তেজ অনেকটা কমে যায়। শীতে সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে আসে। ত্বকের ক্ষতিও বেশি হয়। তাই পৌষ-মাঘের রোদ বিপজ্জনক। ত্বকের সজীবতা ও হালকা বর্ণ ধরে রাখার জন্য শীতের সময় টানা রোদ এড়িয়ে চলাই ভাল।

ডিসেম্বর ১৭.২০২১ at ১০:২৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর