বাণিজ্যিক সুবিধা বাড়াতে বেনাপোল বন্দরে ৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক মানের কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী বছরের জুনে শেষ হবে এই নির্মাণকাজ। উন্নয়নমূলক এ কাজে খুশি ব্যবসায়ীরা। এদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এই টার্মিনালে একসঙ্গে ১ হাজার ২০০ ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক পার্কিংসহ নানান সুবিধা পাবেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
জানা যায়, বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের বাণিজ্যিক শহর কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দেশের আমদানিকারকদের এ পথে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। দেশের স্থলপথে যে বাণিজ্য হয় তার ৭০ শতাংশ হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। তবে চাহিদামতো বন্দরের অবকাঠামো গড়ে না ওঠায় স্বাভাবিক বাণিজ্য পরিচালনা নানানভাবে বিঘ্নিত হতো।
দিনে ৬০০ থেকে ৭০০ ট্রাক পণ্য আমদানির চাহিদা থাকলেও জায়গার অভাবে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ ট্রাকের বেশি পণ্য আমদানি সম্ভব হতো না। এতে ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছিলেন। ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল, জায়গা অধিগ্রহণ করে টার্মিনাল ও পণ্যাগার নির্মাণের। অবশেষে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৫ একর জায়গায় শুরু করেছে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল নির্মাণকাজ।
বেনাপোল আমদানি ও রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, টার্মিনাল চালু হলে আমদানি বাণিজ্য সহজ হবে। কোনো কোনো ট্রাক ৫০ থেকে ৬০ মেট্রিকটন ওজনের পণ্য নিয়ে বন্দরে প্রবেশ করে। ফলে কোনোভাবে যেন টার্মিনালটিতে নিম্নমানের কাজ না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনে বন্দরবিষয়ক সম্পাদক মেহেরুল্লাহ বলেন, বেনাপোল বন্দর টার্মিনালে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ভারতে পেট্রাপেল বন্দরে সব সময় ১০ হাজার ট্রাক আটকে থাকত। বন্দর টার্মিনাল সুবিধায় ট্রাকের সেই জট থাকবে না।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কার্গো ভেহিক্যা ল টার্মিনাল ছাড়াও বন্দরের বাণিজ্যিক সুবিধা, নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়াতে বন্দর স্থাপনার চারপাশে উঁচু প্রাচীর, আধুনিক পণ্যাগার ও জায়গা অধিগ্রহণের কাজ চলছে।
ডিসেম্বর ১৭.২০২১ at ১০:১৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর