মদনে জোর পূর্বক বাঁধ দখল করে মাছ বিক্রি করার অভিযোগ

নেত্রকোনার মদনে গুলাইল চরের বাধঁ দখল করে মাছ বিক্রি করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ধুবাওয়ালা গ্রামের পক্ষে মুরাদ ভূঁইয়া নামে এক ভুক্তভোগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ অভিযোগটি দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধুবাওয়ার সামনের গুলাইল চরের বাধঁটি ধুবাওয়ালা গ্রামের প্রায় তিনশত পরিবার প্রতিবছর মাছ বিক্রি করে উন্নয়ন মূলক কাজসহ গ্রামের সাধারণ পরিবার ওই বিলে উন্মুক্ত জাল ফেলে মাছ ধরত।

আরো পড়ুন:
বহুরূপী প্রতারক আরিয়ান গ্রেফতার।

কিন্তু গ্রামের প্রভাবশালী মোঃ মহসিন, মুসলিম, মোকসুদ, রুমন, এমরান, আশিকুল, হুমাযুন ওই সাতজন বাধঁটি দখলে নিয়ে মাছ ধরে বিক্রি করছে। ওই বাঁধে মাছ ধরতে গেলে তাদের হুমকি ধুমকি এমনকি মারপিটের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে বাধঁটি উন্মুক্ত থাকার জন্য গ্রামবাসীর পক্ষে মুরাদ ভূ্ইঁয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার সরজমিনে গেলে বাধঁটি জাল দিয়ে বের দেয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। বাধঁ পাড়ের কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,ওই বাধঁটি দীর্ঘদিন যাবত দেখে আসছি গ্রামের অনেক গুলো পরিবার মাছ ধরে। এমনকি ওই বিলের মাছ বিক্রি করে গ্রামের উন্নয়ন মূলক কাজসহ গরীব শ্রেণির লোকজন মাছ ধরে বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করত। কিন্ত তাদের দখলের কারণে এখানে মাছ ধরাত দূরের কথা কোন জাল ফেলার সাহস করতে পারে না। যদি কেহ ভুল ক্রমে জাল ফেলে মাছ ধরতে চায় তাহলে তাদের শুনতে হয় গালিগালাজসহ মারপিটের হুমকি।

আশিকুল জানান, ওই বিল হচ্ছে আমাদের বাপ দাদাদের। উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব দরবারের মাধ্যমে বলেছেন গ্রামবাসী যেন আর ওই বিলে না যায়। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহোদয়ের সিন্ধান্ত মোতাবেক আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে মাছ ধরতে আমরা কোন নিষেধ করছি না। যে কেহ মাছ ধরতে পারবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিনা শাহরীন জানান, এ বিষয়ে আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি)’কে তদন্ত করার জন্য বলেছি। এখনও তদন্ত প্রতিবেদন পাইনি। পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

ডিসেম্বর ১৬.২০২১ at ১৫:০২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর