ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন অ্যাসিডিটি

অ্যাসিডিটির সমস্যা নেই এমন মানুষ খুব কমই আছে। নিয়মিত ওষুধ তো খান, তবুও অফিসে কিংবা কাজকর্মে যাওয়ার সময় সঙ্গে অ্যাসিডিটির ওষুধও নিয়ে যান। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে অ্যাসিডিটির ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। এতে ফলও তেমন পাওয়া যায় না। তাই ওষুধের উপর নির্ভরশীল না হয়ে খাবারের দিকে মনযোগ দিন।

যে খাবার গ্যাস্ট্রিক দূর করতে সাহায্য করে, সেগুলো খাবারের তালিকায় রাখুন। খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম, স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম না করা, পানি কম খাওয়ার ফলে পেটে গ্যাস তৈরি হতে পারে। প্রথম দিকেই সচেতন না হলে পরবর্তী সময়ে আলসার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এবার জেনে নিন, কোন কোন খাবার দ্রুত অ্যাসিডিটি কমায়।

আরো পড়ুন:
১৬ নভেম্বর নামাজের সময়সূচি

মৌরি- এতে রয়েছে অ্যান্টি-আলসার উপাদান। মৌরিতে কপার, আয়রন, পটাসিয়াম, সেলেনিয়াম, জিংক ও ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে আছে। মৌরি হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্টকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। অ্যাসিড হলে কিছু পরিমাণ মৌরি খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদি ফল পেতে জলে কিছু মৌরি ফেলে ফুটিয়ে রাতে রেখে দিতে হবে। পরের দিন অ্যাসিডিটির কারণে যখন অসুবিধা হবে, তখন তা পান করতে হবে।

তুলসি- পাকস্থলীতে অতিরিক্ত মিউকাস উত্পাদনে সাহায্য করে তুলসি। এতে রয়েছে অ্যান্টিআলসার উপাদান, যা গ্যাসট্রিক অ্যাসিডের প্রকোপ কমায়। অ্যাসিডিটি হলে পাঁচ থেকে ছয়টি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেলে উপকার হয়।

আদা- হজমশক্তি বাড়াতে আদা উপযোগী। মুখের লালা বা স্যালাইভা উৎপাদন করে আদা।মিউকাস নিঃসরণ বাড়িয়ে আলসার থেকেও পাকস্থলীকে রক্ষা করে। অ্যাসিড থেকে মুক্তি পেতে আদার ছোট ছোট টুকরো মুখে ফেলে খেতে হবে। এছাড়া জলে আদা ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে খেলেও ফল মেলে। এছাড়া আদা বেটে তালগুড়ের ছোট টুকরোর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে রেখে চুষে খেলেও ফল মেলে।

এলাচ- হজমশক্তি বাড়ায় । ছোট এলাচের দুইটি দানা গুঁড়ো করে জলে ফুটিয়ে তা ঠাণ্ডা হলে পান করুন, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন।

আমলা- এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আমলা গুঁড়ো এক চামচ করে দিনে দুবার খেলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।

কলা- পটাশিয়ামের সম্বৃদ্ধ উত্স।তাই কলা পাকস্থলীতে অ্যাসিডের উত্পাদনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। কলার বেশ কিছু উপাদান পাকস্থলীতে মিউকাসের উত্পাদনও বাড়িয়ে দেয়, যা অত্যধিক অ্যাসিড উত্পাদনের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে। কলার ফাইবার উপাদানের কারণে হজমশক্তি বাড়ে।এতে অ্যাসিডিটি আক্রান্ত হওয়ার পুনরাবৃত্তিও রোধ হয়। অ্যাসিটিডি থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে পাকা কলা খেলে উপকার পাওয়া যায়।

ডিসেম্বর ১৬.২০২১ at ১০:২৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর