গাজীপুরে অপরিকল্পিত স্পিড ব্রেকার, বড় গর্ত ও দখলে সড়কের বেহাল অবস্থা

দেশব্যাপী মানুষের কাছে অতিপরিচিত একটি এলাকা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী অঞ্চলের ৪৯ নং ওয়ার্ড এরশাদনগর এলাকা। সারাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলার কমবেশী লোক এলাকায় বসবাস করে। শিল্প অঞ্চল টঙ্গী এলাকার সব চাইতে ঘনবসতি পূর্ণ এলাকা এই এরশাদনগর। নিচু এলাকা হওয়ায় ততকালীন সময়ে এরশাদনগর এলাকার চারপাশে উচু করে বেরিবাধ করে রাস্তা করা হয়েছিল। বর্তমানে বেড়িবাঁধ সড়কটির বেশীর ভাগ রাস্তার অবস্থা বেহাল। গত কয়েক মাস আগে ৪৯ ও ৫০ নং ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ সড়কটি নতুন করে পাকা করায় এই সড়ক ব্যাবহার করে এরশাদনগর এলাকার মানুষের পাশ্পাাশি শালিকচুড়া, টেকবাড়ি ও চানকিরটেক এলাকার জনগণ সুন্দর ভাবে যাতায়েত করছে।

আরো পড়ুন:
শিবগঞ্জে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্টেকেটর, আগুনে বসত বাড়ি পুড়ে ছাই

তবে ৪৯ ও ৪৮ নং ওয়ার্ডের মাঝে থাকা বেড়িবাঁধ সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। শুকনো সময়ে গাড়ি চলাফেরায় খুবই কষ্ট হলেও বৃষ্টির হলে পায়ে হেটে চলাচলের অনুউপযোগী হয়ে যায়। এই সড়কটির সঠিক দেখশুনার অভাবে দখলদারদের লালসায় দিনদিন সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। যে যার ইচ্ছেমতো সড়ক দখল করে গড়ে তুলছে দোকান, বাড়িঘর। এই সড়ক্টি এরশাদনগর এলাকার মানুষের পাশাপাশি ব্যাবহার করছে দত্তপাড়া, আচারপট্টি ও মোল্লাবাড়ি এলাকার হাজার হাজার মানুষ।

এছাড়া পরিকল্পিত পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা না থাকায় ঝড়, বৃষ্টি হলে ১নং বড় বাজার, ৩ নং বøকসহ বিভিন্ন বøকের রাস্তায় পানি জমে দোকান ও বাসাবাড়ির আসবাপত্র নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন শাখা সড়কে যে যার ইচ্ছে মতো নির্মাণ করেছে অসংখ্য স্পিড ব্রেকার। সরজমিনে দেখা গেছে ১০০ মিটারের শাখা সড়কেও রয়েছে কমপক্ষে ১০টির ও বেশী স্পীড ব্রেকার। এতে যান চলাচলে বিগ্নতাসহ স্পীড ব্রেকারগুলো পরিকল্পিত ও সঠিক উচ্চতায় না হওয়ায় চলাচলকারি পরিবহনগুলোর ক্ষতি হচ্ছে।

এলাকার শুশীল শ্রেণীর মানুষের দাবি, পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যাবস্থা এবং অতি দ্রæত এই সড়কের দিকে নজরদারি না রাখলে এরশাদনগর এলাকার দখল হয়ে যাওয়া পুকুর গুলোর মতো বিলীন হয়ে যাবে ৪৮-৪৯ নং ওয়ার্ড বেড়িবাঁধ সড়কটি। এই দখলবাজদের হাত থেকে সড়কটি রক্ষার্থে গাজীপুরের মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাহিদ আহসান রাসেল ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণসহ প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

এ বিষয়ে ৪৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা ইতিমধ্যে যথাসম্ভব বিভিন্ন ড্রেন ও সড়কের উন্নয়ন কাজ করেছি। বেড়িবাঁধ সড়কটি বেহাল অবস্থায় থাকলেও আমরা সড়কটি নতুন করে করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আশারাখি সড়কের কাজ শুরু করলে এখানকার যেসব অসহায় মানুষ সড়কের জায়গা দখল করে রেখেছে তারা অড়কের জায়গা খালি করে দিবে। সড়কে যে স্পীড ব্রেকার রয়েছে সেগুলো যে যার ইচ্ছে মতো করেছে। আমি বিষটি দেখে ব্যাবস্থা নিব।

ডিসেম্বর ১৫.২০২১ at ১৬:৩৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর