বুয়েটছাত্র ফারদিন হত্যা: চনপাড়া বস্তিতে ঘুরপাক খাচ্ছে মামলার তদন্ত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ (২৪) হত্যা মামলা তদন্ত এখনও রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তিতে ঘুরপাক খাচ্ছে। এই বস্তিটিকে প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র‍্যাব। তবে এখনো হত্যার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে পারেনি কেউ। উত্তর মেলেনি ফারদিন কীভাবে গভীর রাতে সেখানে গিয়েছিলেন। সেজন্য সম্ভাব্য সব পথের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ জব্দ করেছে র‍্যাব ও ডিবি। অন্তত ৫০০ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ও যাচাই বাছাই করছে দুই তদন্ত সংস্থা।

আরো পড়ুন:
আজ থেকে শুরু হলো নতুন নিয়মে অফিস

মাদকের ডিপো যেন নারায়ণগঞ্জের চনপাড়া বস্তি! ২৪ ঘণ্টা প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে মাদক। সহজলভ্য হওয়ায় ঢাকাসহ আশপাশের এলাকা থেকে চনপাড়ায় ভিড় জমায় মাদকসেবীরা। বস্তির নটি ওয়ার্ডের অন্তত ১১৪টি স্পটে বিক্রি হয় মাদক। আর এ বাণিজ্যে জড়িত কয়েকশ মাদক কারবারি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় বছরের পর বছর ধরে চলছে মাদক বাণিজ্য।

চনপাড়া এলাকার তিন দিকে নদী, এক দিকে খাল। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় যোগাযোগবিচ্ছিন্ন চনপাড়ায় এখন লাখখানেক লোকের বাস। সড়কপথে এ এলাকায় যেতে হলে ঢাকার ডেমরা হয়ে বালু নদের ওপর নির্মিত সেতু পার হতে হয়। স্থলপথে এটিই চনপাড়ায় প্রবেশের একমাত্র রাস্তা। ভৌগোলিকভাবে জায়গাটি দুর্গম হওয়ায় এখানে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতি বহাল। গত ৪০ বছরে এলাকাটিতে শুধু মাদক ইস্যুতে খুন হয়েছেন কমপক্ষে ২৩ জন।

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশবুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ। ফাইল ছবি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ (২৪) হত্যা মামলা তদন্ত এখনও রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তিতে ঘুরপাক খাচ্ছে। এই বস্তিটিকে প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র‍্যাব। তবে এখনো হত্যার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে পারেনি কেউ। উত্তর মেলেনি ফারদিন কীভাবে গভীর রাতে সেখানে গিয়েছিলেন। সেজন্য সম্ভাব্য সব পথের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ জব্দ করেছে র‍্যাব ও ডিবি। অন্তত ৫০০ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ও যাচাই বাছাই করছে দুই তদন্ত সংস্থা।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট র‍্যাবের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৪ নভেম্বর দিবাগত রাত আড়াই টার দিকে ফারদিনের মোবাইলের অবস্থান ছিল রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নেই পড়েছে চনপাড়া বস্তি। চনপাড়ায় হত্যা করে কায়েতপাড়া দিয়ে তাকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলা হয়। যেখানে লাশটি পাওয়া গেছে সেখানে দেড় দিনের স্রোতে মরদেহ ভেসে যেতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে। স্রোতের যে গতি তাতে কায়েতপাড়ার ইউনিয়নের চনপাড়ার আশপাশের কোনো স্থান থেকে তাকে ফেলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ১৫.২০২১ at ১০:৫৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর