ঢাকা আসছেন আসামের ৩৭ বিধায়ক

বাংলাদেশ ভ্রমণে যাচ্ছেন আসাম বিধানসভার এক প্রতিনিধি দল । ছয় দিনের ভ্রমন সূচি নিয়ে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন আসাম বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারি । সঙ্গে থাকবেন ৩৭ জন বিধায়ক । ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ যাত্রা করবেন বিধায়করা । আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে তাদের বাংলাদেশে প্রবেশের কথা রয়েছে। ছয় দিনের সফরকালে ভারতীয় নেতৃৃবন্দ ঢাকা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন দর্শণীয় স্থান পরিদর্শণ, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় ছাড়া একটি সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।

আরো পড়ুন:
ঘন ঘন শেভ করলে ত্বকের যেসব ক্ষতি হতে পারে!

বিধায়কগণের সঙ্গে থাকবেন দুইটি সাংস্কৃতিক সংগঠনও। এর একটি হচ্ছে বিহু এবং অন্যটি বড়ো মরম্পরাগত বাগরুম্বা নৃত্যদল । প্রতিটি দলে আটজন করে শিল্পী থাকবেন । সঙ্গে থাকবেন আসাম বিধানসভা সচিবালয়ের কয়েকজন আধিকারিকও।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আসামের বিধায়কদের সফরের কথা নিশ্চিত করে ভোরের কাগজকে বলেন, তারা আসছেন। আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসাবাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হবে। তাদের সম্মানে নৈশভোজও দেয়া হবে বলে জানান তিনি। বিশেষ সফরে বাংলাদেশ আসা বিধায়কদের মধ্যে রয়েছেন- উৎপল বরা, অজয় রায়, বিজয় মালাকার, শিবু মিশ্র, দীপায়ন চক্রবর্তী, রূপজ্যোতি কূর্মি, বিশ্বজিৎ ফুকন, রূপেশ গোয়ালা, বিরোধী দলীয়নেতা দেবব্রত শাইকিয়া, বিরোধী উপদলীয়নেতা রকিবুল হোসেন, বিধায়ক ওয়াজেদ আলি চৌধুরী, কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, রেকিবুদ্দিন আহমেদ, বসন্ত দাস, শিবমনি বরা, আব্দুর রশিদ মণ্ডল, আছিফ মহম্মদ নাজার, প্রদীপ সরকার, দিগন্ত বর্মণ, আফতাব উদ্দিন, খলিল উদ্দিন মজুমদার, মিসবাহুল ইসলাম লষ্কর, রমেন্দ্রনারায়ণ কলিতা, ভবেন্দ্র নাথ ভরালি, পত্মী স্বর্ণলতা দাস, মনোরঞ্জন দাস, অখিল গগৈ, আমিনুল ইসলাম, করিমউদ্দিন বড় ভূঁইয়া, রফিকুল ইসলাম, সুজামউদ্দিন লষ্কর, আশ্রাফুল হোসেন, নিজামউদ্দিন চৌধুরী, গোবিন্দ বসুমাতারি, জলেন দৈমারি, জয়ন্ত বসুমাতারি ও লরেন্স ইসলারি। এদের সঙ্গে বিধানসভা সচিবালয়ের বহু কর্মকর্তা থাকবেন। এছাড়া আসবে দুটো সাংস্কৃতিক দলও।

সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ, জটিল এবং বিস্তৃত সম্পর্ক এবং অংশীদারিত্ব রয়েছ। এই অংশীদারিত্বের অন্যতম অংশীদার আসাম। ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বৃহত্তম রাজ্য আসাম এবং বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ২৬৩ কিলোমিটার নদী এবং স্থল সীমান্ত রয়েছে। আয়তন, জনসংখ্যা এবং অবস্থান বিবেচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসাবাণিজ্য দুই পক্ষেই একে অন্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর ২০২০ সালের মে মাসে যখন ঢাকা সফর করেন, তখন শেখ হাসিনা ভারতকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দেন। কিন্তু ভারত এখনো পুরোদস্তুর ব্যবহার শুরু করেনি।

এটা শুরু হলে বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংযোগে ব্যাপকতা আসবে। দুই দেশের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের সিংহভাগই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সঙ্গে সংযুক্ত। বাণিজ্যিক কার্যক্রমের দিক থেকে ভারতের এই বাংলাভাষী অঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের আলাদা টান রয়েছে। ঠিক একইভাবে যদি বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বাণিজ্যের উন্নতি ঘটে, তাহলে পুরো অঞ্চলের চিত্র পাল্টে যাবে।

ডিসেম্বর ১৫.২০২১ at ১০:৪০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর