চিলমারীতে তথ্য অধিকারের আবেদন পত্র ফিরিয়ে দিলেন কৃষি কর্মকর্তা

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে তথ্য অধিকারে আবেদন করতে গেলে আবেদনকারীকে ফিরিয়ে দিলেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নুর আলম। এদিকে কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাশকে বিষয়টি জানালে তিনিও দায় সারা ভাবে কথা বলেন। সোমবার সকালে এবং দুপুরে প্রতিদিনের সংবাদ ও ইনকিলাব প্রতিনিধি এস এম রাফি ও ফয়সাল হক তথ্য অধিকারে ২০২২/২৩ অর্থ বছরের কৃষি প্রণোদনার বীজ ও সার এর তালিকা চেয়ে আবেদন করতে গেলে দায়িত্বরত স্টাফ ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নুর আলম আবেদন টি না নিয়ে সাংবাদিকদের ফিরয়ে দেন।

আরো পড়ুন:
নড়াইলে ভিক্ষুকদের নগদ অর্থ ও উপকরণ বিতরণ

এতে সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এ বলা হয়েছে, তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণের নিমিত্ত বিধান করিবার লক্ষ্যে প্রণীত আইন। যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা নাগরিকগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃত এবং তথ্য প্রাপ্তির অধিকার চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ; এবং যেহেতু জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। সাংবাদিক রাফি বলেন, ১ম দফায় আবেদন নিয়ে গেলে দায়িত্বরত স্টাফ বলেন আবেদন জমা দিয়ে যেতে পারেন তবে রিসিভ করে নেয়া যাবে না।

অপর দিকে সাংবাদিক ফয়সাল হক জানান, তারা আবেদন রেখে যেতে বলেছেন। সেই সাথে এটাও জানিয়েছেন উর্ধতন কর্মকর্তা (কৃষি অফিসারগনের) নিষেধ থাকায় আবেদন নেন নি। ক্ষোভ প্রকাশ করে চিলমারী অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাবু বলেন, অথ্য অধিকার আইন ২০০৯ সনের ২০ নম্বর আইনে বলা আছে, যেহেতু জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক সুতরাং তথ্য অধিকারে যে কেউ আবেদন করতে পারেন। কিন্তু তারা আবেদন নেবে না কেনো সেটা আমার বোধ গম্য হচ্ছে না। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাশ এর সাথে মুঠোফোনে কথা বলা হলে তিনি আবেদনটি রেখে যেতে বললেও রিসিভ কপি দেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়েই বাইরে আছেন বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।

ডিসেম্বর ১৪.২০২১ at ১৬:৩৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর