ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে ৮ মামলা

গ্রামীণ টেলিকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মোট ৮টি মামলা দায়ের করেছে গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ৭ কর্মকর্তা ও এক কর্মচারী। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জবাব দাখিল করার জন্য বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত বুধবার (৯ নভেম্বর) শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দাবি করে গ্রামীণ টেলিকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান ও গ্রামীণ টেলিকম লিমিটেডের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আইন প্রণয়ন হওয়ার এক মাসের মধ্যে তহবিল গঠন করার কথা বলা হয়েছে। চাকরি করাকালীন চার অর্থবছরের অংশগ্রহণ তহবিল এবং শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে কোম্পানির নিট মোনাফার অংশ বন্টন করতে হবে। কিন্তু সেটি তারা করেননি।

আরো পড়ুন:
বিশ্বব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ আবার ঋণ চেয়েছে

তাই শ্রম আদালত তৃতীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিগত ২০০৬- ২০০৭, ২০২৮ এবং ২০০৯ সালে ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষে গ্রামীণ টেলিকম লিমিটেড, চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসানের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন তারা জবাব দাখিল করবেন। তিনি আরও বলেন, ওই ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকমে কর্মরত ছিলেন। ২০০৬-২০০৯ অর্থবছরে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়। শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিলে দিতে হবে।

এই লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে প্রথমে তারা গ্রামীণ টেলিকমকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পরও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গত ৯ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে শ্রম আইনের ২১৩ ধারা মোতাবেক পৃথক ৮টি মামলা করেন। এতে আদালত মামলা গ্রহণ করে গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষকে ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জবাব দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

ডিসেম্বর ১৩.২০২১ at ২১:৪৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/ইমস