আশুলিয়ায় আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

আশুলিয়া থানা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুক ও তার বড় ভাই রওশন আলমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে জমি দখলের চেষ্টা ও পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ আশুলিয়া থানায় জিডি ও মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। গত ১১ নভেম্বর ২০২২ শুক্রবার আশুলিয়া থানায় মরহুম লাল মিয়ার ছেলে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক আলহাজ্ব মো আহাদ আলী জোরপূর্বক জমি দখল ও পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় ওমর ফারুক ও তার বড়ভাই রওশন আলমসহ আরও ৪/৫ জনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী।

আরো পড়ুন:
ভাঙ্গুড়ায় ফুটবল বিশ্বকাপের পতাকা বিক্রির ধুম

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ২০১৩ সাল থেকে আহাদ আলীর কাছ থেকে ৭৬ শতাংশ জমি মাসিক চুক্তিতে ভাড়া নিয়ে জুটের গোডাউন তৈরি করে জুট ব্যবসা করে আসছে। অভিযুক্ত রওশন আলম ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারী হইতে ভাড়া না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করে আসছে। একপর্যায়ে গত ১০ তারিখ গোডাউনে ভাড়ার টাকার জন্য গেলে অভিযুক্ত ওমর ফারুক ও তার বড়ভাই রওশন আলম আমার ও আমার ম্যানেজার সবুজের উপর চড়াও হয় এবং ম্যানেজার সবুজের কাছে ভাড়া উত্তোলন বাবদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং তাকে কিল-ঘুষি মারে আহত করে।

অভিযুক্ত আসামিরা হলো ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার বাইপাইল এলাকার মৃত সাহেব আলীর ছেলে রওশন আলম। তার ভাই আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুক ওরফে ফারুকসহ অজ্ঞাতনামা চার পাঁচ জন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওমর ফারুকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন এর সাথে কথা বলে তিনি জানান, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আমি এই প্রথম শুনলাম তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় সে যদি দোষী প্রমানিত হয় তাহলে তার বিচার আইন করবে।

এব্যাপারে ভুক্তভোগী আহাদ আলীর ছেলে শফিউল্লাহ বলেন, অভিযুক্ত রওশন আলী ও তার ভাই ওমর ফারুক ২০১৩ সালে আমার পিতার কাছ থেকে ৭৬ শতক জমি মৌখিক ভাবে ভাড়া নিয়ে গোডাউন তৈরি করে। তাতে তারা জুট ব্যবসা করে আসছে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে লিখিত স্ট্যাম করে পাঁচ বছরের জন্য ভাড়া নিয়ে জুট ব্যবসা করে আসছে। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারী মাস থেকে বিবাদী রওশন ও তার ভাই ফারুক ভাড়া না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করে আসছে। একপর্যায়ে আমার পিতা আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানালে তারা আমার বাবাকে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রানে মারার হুমকি দেয়। তিনি আরও বলেন গত ১০ নভেম্বর ওমর ফারুক ও তার ভাই রওশনসহ আরও চারপাঁচ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র সশস্ত্র সহ জোরপূর্বক ভাবে আমাদের জমি দখল করতে আসে।

আমরা বাধা দিলে ফারুক আমাদের আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয় এবং গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে জানিয়ে যায়।এমতাবস্থায় আমি এবং আমার পরিবারের লোকজন আতংকে দিন কাটাচ্ছি। এব্যাপারে ওমর ফারুক ও তার ভাই রওশন আলমসহ কয়েক জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যাহার নং ৩৪, তারিখ ১১ নভেম্বর ২০২২। আমরা তাদের ভয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে আতংকে আছি। আমি আইন প্রশাসনসহ মিডিয়ার সাহায্য সহযোগিতা কামনা করছি। আশুলিয়া থানায় কর্মরত এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এমদাদুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নভেম্বর ১৩,২০২২ at ১৫:১৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/এসআর