হাসপাতালে দেরি করে যাওয়ায় বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু

স্বাস্থ্যকর্তাদের পর্যবেক্ষণ, মানুষ কোভিডের সময়ে পাঁচ-ছ’দিন অপেক্ষা করে তার পরে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিলেন। পরীক্ষা করাচ্ছিলেন না। সেই অভ্যাস বা প্রবণতা এখনও পুরো মাত্রায় রয়ে গিয়েছে। ‘‘ডেঙ্গুতে প্লেটলেট কমে যাওয়াই অবস্থা খারাপ হওয়ার একমাত্র লক্ষণ নয়। এই ধারণাথেকে বেরোতে হবে। কারণ, আরও বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে। জ্বরের সঙ্গে সেগুলি থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হতেই হবে।

আরো পড়ুন:
পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে

সেগুলিই শক সিন্ড্রোমে চলে যাওয়ার উপসর্গ।’’ তিনি জানাচ্ছেন, এ বার ৪০ বছরের নীচে অর্থাৎ কমবয়সিরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মহিলা ও পুরুষ রোগীর অনুপাত ৫০ শতাংশ করে। মাঝেমধ্যে মহিলাদের সংখ্যা কিছুটা হলেও বাড়ছে। চিকিৎসায় দেরি হওয়ার কারণে শক সিন্ড্রোমের প্রবণতা বৃদ্ধিপাচ্ছে বলে পর্যবেক্ষণ ক্রিটিক্যাল কেয়ারের চিকিৎসক সৌরেন পাঁজারও।

তিনি বলেন, ‘‘প্রথমত,জ্বর হলেও তাকে উপেক্ষা করে অনেকে বাড়িতে চিকিৎসা করছেন।পরীক্ষা দেরিতে করানোয় রোগীর সমস্যা বাড়ছে। দেরিতে ডেঙ্গির চিকিৎসা শুরু করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতির আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। তাতে মৃত্যুর আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই জানাচ্ছেন, জ্বরেরপ্রথম চার দিনের মধ্যে অ্যালাইজ়া পদ্ধতিতে এনএস-১ অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করতে হবে।

তাতে ডেঙ্গি পজ়িটিভ হলে বেশি করে জল খেতে হবে। পূর্ণবয়স্ক মানুষের তিন লিটার জল প্রয়োজন। প্রতিদিন প্লেটলেট ও পিসিভি (প্যাকড সেল ভলিউম) পরীক্ষা করানো উচিত। যদি সতর্কতামূলক কোনও লক্ষণদেখা যায়, তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

নভেম্বর ১১,২০২২ at ১৫:৪৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস