গৌরবময় সংগ্রামের যুবলীগের ৫০ বছর

সংগ্রামের পঞ্চাশ বছর পূর্ণ করল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চার মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে শিক্ষা, বেকারত্ব দূরীকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, আত্মনির্ভরশীল অর্থনীতি, কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করতে কাজ করছে জাতির পিতার নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মণির হাতেগড়া এই সংগঠনটি। গত কয়েক বছরে সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অস্ত্রবাজি, ক্যাসিনোকাণ্ড ও মাদকপাচারের মতো বেআইনি ঘটনায় বিব্রত সরকার ও দল। ক্ষুব্ধ দলীয় হাইকমাণ্ডের নির্দেশে সরকার ও দলে চালানো শুদ্ধি অভিযানের জালে আটকা পড়ে বড় বড় রুই-কাতলা।

আরো পড়ুন:
জ্বালানি নিরাপত্তায় নজর

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার কাজে যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করতে শেখ মণির বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে যুবলীগ। পঁচাত্তরে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং সস্ত্রীক শেখ মণি হত্যাকান্ডের পর ১৯৭৮ সালে ২য় কংগ্রেসে আবার সংগঠিত হয় যুবলীগ। জিয়া সরকার থেকে শুরু করে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা পালন করে সংগঠনটি। ২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের হত্যা, গুম, বাড়ি লুট, শিক্ষক হত্যা, সিরিজ বোমা হামলা, ২১ আগস্টে বোমা হামলা, দুর্নীতিতে পর পর ৫ বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রতিবাদে রাজপথে প্রতিবাদমুখর ছিল সংগঠনটি। সোচ্চার ছিল ২০০৭-২০০৮ সালের সেনাশাসনের বিরুদ্ধে। শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের পর রাজপথে নেমেছিল যুবলীগ।

গত ৫০ বছরে প্রবীণ রাজনীতিবিদ আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজমের মতো নেতারা এগিয়ে নিয়েছেন সংগঠনকে। চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, যুবলীগের দীর্ঘ ৫০ বছরের পথপরিক্রমায় সংকট-সংগ্রামে সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সরকারের উন্নয়নের ধারা, গণতন্ত্রের ধারা রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর মতো রাজপথে রয়েছে যুবলীগ। যুবলীগ বিশ্বাস করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হেরে গেলে, হেরে যাবে বাংলাদেশ।

যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ভোরের কাগজকে বলেন, পঁচাত্তর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে কাজ করেছে যুবলীগ। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। আজো তার নির্দেশেই অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় জনগণের পাশে রয়েছে যুবলীগ। আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের মহাসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, সকাল ১১টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাবেশের প্রথম পর্যায় শুরু হবে। দ্বিতীয় পর্যায় বেলা আড়াইটা থেকে। যুবলীগ ছাড়াও সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেবেন।

নভেম্বর ১১,২০২২ at ১০:১১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস