জাবি উপাচার্যকে আইনি নোটিশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যলয়ের (জাবি) প্রশাসনিক ও আর্থিক দুর্নীতির বিরূদ্ধে জাবির সাবেক অধ্যপক আলী আকন্দ মামুন’র পক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব, ইজিসির চেয়ারম্যন ও জাবি ভিসি নূরুল আলমকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী। এতে বিভিন্ন সময়ে জাবিতে হওয়া দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে দুদকে করা অধ্যপক আলী আকন্দ মামুনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবী করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:
জাবি আন্তঃবিভাগ ফুটবলে বিজয়ী অর্থনীতি বিভাগ

অভিযোগপত্র সূত্র জানা যায়, ২০০১ থেকে ২রা জুলায় ২০০৯ সাল পর্যন্ত জাবিতে হওয়া প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যেখানে প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তের জন্য জাবির বর্তমান ভিসি অধ্যাপক নূরুল আলমকে প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও সেই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়নি।

জানা যায়, অনেক গুলো অনিয়মের মধ্যে একটি ছিলো উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা-২০০৫ এ প্রশ্নপত্র ফাঁস করে শামিমা আক্তার নূপুরকে কৃতকার্য হতে সহায়তা করা হয়। এপ্রেক্ষিতে ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০০৭ তার সহপাঠীরা অভিযোগ দায়ের করেন। উল্লেখ্য, গত ৬ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তাকে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অস্থায়ী প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। যদিও এ নিয়োগ বাতিলের জন্য বিভাগের শিক্ষকরা জাবি ভিসি বরাবর অনুরোধ লিপি প্রেরণ করেন।

নিয়োগ নিয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ছালেহ আহাম্মদ খান জানান, যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে একজনের উচ্চতর ডিগ্রী নেই এবং অন্যজন তার স্নাতকোত্তরে থিথিস করেননি। এ নিয়োগে বিভাগের উপকার নয় বরং কোর্স বন্টনে আরো অসুবিধার সৃষ্টি হবে। অভিযোগপত্র সূত্র আরো জানা যায়, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের আরেক শিক্ষক গাজী মোশাররফ হোসেন ভূয়া ভাউচার দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ হাতিয়ে নেন।

২৫ এপ্রিল ২০১২ সালে অধ্যাপক আলী আকন্দ মামুন’র উপর হওয়া শারীরিক নির্যাতনেও তিনি অভিযুক্ত। এছাড়া অধিকর উন্নয়ন প্রকল্পে গঠিত দুর্নীতি, আপ্রয়োজনে আবাসিক ভবন নির্মান, ভর্তি পরীক্ষার ফি ভাগ-বাটোয়ারাসহ উইকেন্ড কোর্সের অর্থ আত্মসাৎ বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উল্লেখ্য করা হয় আইনি নোটিশে। এব্যাপারে আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী বলেন, আমি আমার মক্কেলের হয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি।

এক সপ্তাহের মধ্যে দুদক পদক্ষেপ না নিলে, আমরা রিপিটেশন ফাইল পাঠাবো। এব্যাপারে জাবি ভিসি অধ্যাপক নূরুল আমল বলেন, আমি আইনি নোটিশ পেয়েছি। কোর্ট থেকে কোনো নোটিশ পেলে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

নভেম্বর ০৯,২০২২ at ১৮:২৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস