কে বা কারা, বুয়েট শিক্ষার্থী পরশের ঘাতক

রাজধানী থেকে নিখোঁজ হওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের (২৩) মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হযেছে। ময়নাতদন্তে তার মাথার বিভিন্ন অংশে ও বুকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। কারা কী কারণে তাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়েছে- তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ, র‌্যাবসহ একাধিক সংস্থা। এরইমধ্যে পরশের এক বান্ধবীসহ একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:
ইবিতে প্রেমিকা নিয়ে বহিরাগত দুই প্রেমিকের মারামারি

সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ও পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে পরিকল্পিত বলায় আরো কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার মাথার বিভিন্ন অংশে ও বুকে আঘাতের চিহ্ন থাকায় হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসক শেখ ফরহাদ জানান, ৩ দিন আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আঘাতগুলো স্বাভাবিক না হওয়ায় আমরা ধারণা করছি এটি হত্যাকাণ্ড।

এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করে দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের আইনে আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বুয়েটের শিক্ষার্থী ও পরশের পরিবারের সদস্যরা। গতকাল দুপুরে বুয়েটের শহীদ মিনারে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে পরশ ‘হত্যার’ সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা বুয়েট শিক্ষার্থীরা এই ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের ভাষ্য থেকে স্পষ্ট যে এটা একটা হত্যাকাণ্ড।

আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি। পরশ ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত মেধাবী এবং নির্ঝঞ্ঝাট একজন মানুষ ছিল। উল্লেখ্য, নিখোঁজের ৩ দিন পর সোমবার সন্ধ্যার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের বনানী ঘাট সংলগ্ন লক্ষ্মীনারায়ণ কটন মিলের পেছন দিক থেকে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র পরশের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নভেম্বর ০৯,২০২২ at ০৯:৪৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/সর