পাবনার বেড়া উপজেলার চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতার সুনাম নষ্টের অভিযোগ

পাবনার বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমিনপুর থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল হক বাবুর সুনাম নষ্টের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে সপ্রতি একটি কুচক্রমহলের বিরুদ্ধে। নানান মাধ্যমে অপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে তারা। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান যথাযর্থ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে।এছাড়াও তিনি আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন। জানা যায়, একটি কুচক্রীমহল উপজেলা পরিষদের স্বনামধন্য চেয়ারম্যান ও আমিনপুর থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সপাদক রেজাউল হক বাবুর ভালো কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে উপজেলার শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।যৌন লালসার স্বীকার মা মেয়ে, মেয়ের আতœহত্যা শিরোনামে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকসহ বেশ কিছু স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা সাংবাদিকদের মনগড়া ও ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করানো হয়।

আরো পড়ুন:
কাহালুতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন

পরর্বতীতে ঘটনার বাস্তবতা যাচাইয়ের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। উপজেলার নগরবাড়ী ও তার আশেপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, অভিযোগকারী আঙুরী একজন দেহ ব্যবসায়ী ও ব্লাকমেইলার। এলাকা সূত্রে জানা যায়, আঙুরী চন্ডীপুর এলাকার আনসারের মেয়ে ও বসন্তপুর গ্রামের তোফাজ্জল এর স্ত্রী। সে বিয়ের পর থেকেই দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। শশুর বাড়ীতে থেকেই নিয়মিত পতিতাবৃত্তি করার কারনে বেশ কয়েক বছর পুর্বে এলাকাবাসী প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে তাকে এলাকা ছাড়া করে। পর থেকেই সে ঢাকায় অবস্থান করে দেহ ব্যবসা ও এই এলাকার সম্ভান্ত্র মানুষ জনকে বøাকমেইল করে অর্থ আদায় করাই তার পেশা হয় ।

অভিযোগকারী আঙ্গুরীর ভাসুর আনিছ (৫২) বলেন,আমার ছোট ভাই মরহুম তোফাজ্জল (তোফার) সাথে আঙুরীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সে আমার ভাই এর উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে এমনকি সে বাড়িতে পরপুরুষ নিয়ে এসে দেহ ব্যবসা করতো। তার এমন কর্মকান্ড দেখে স্থির থাকতে না পেরে আমার ভাই আতœহত্যা করে। আমার ভাই এর মৃত্যুর পর সে আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। প্রকাশ্যে তার দেহ ব্যবসা চালাতে থাকে এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী তাকে এলাকাচ্যুত করে। পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য সুসমা রানী সাহা বলেন, আঙুরী ১ যুগ ধরে এলাকা থেকে বিতাড়িত।এর পুর্বে সে এলাকায় দেহ ব্যবসা করতো। সে আমার ভাসুর পুত্র সুমন ( কালা) কে তার শরীরের জাদুতে পাগল করেন। কালার যখন অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয় তখন আঙুরী তাকে বøাকমেইল করে ২ লক্ষ টাকা দাবী করে ও প্রকাশ্যে শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করে যা সইতে না পেরে কালা (সুমন) আতœহত্যা করে।

নগরবাড়ী ঘাটের কয়লা ব্যাবসায়ী রানা হাজী বলেন,আমি একজন কয়লা ব্যবসায়ী। ৩ বছর পুর্বে হেলাল দালালের মাধ্যমে আঙুরী আমার সাথে যোগাযোগ করে। সে জানায় রংপুরে তার দুইটি ভাটা আছে সে কয়লা নিবে।এ বিষয়ে ২-৩ দিন যোগাযোগের পর সে আমাকে বøাকমেইল শুরু করে। সে দাবি করে আমি তাকে বিবাহ করেছি আমার পুরো পরিবারকে সে উল্টাপাল্টা বলে ও মোটা অংকের টাকা দাবি করে।পরবর্তীতে আমি ও আমার পরিবার তীব্র প্রতিবাদ করলে আঙুরী পিছু হটতে বাধ্য হয়। রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত এ এম শহিদুল্লাহর ছেলে গোলাম গওজ( ৪০) বলেন, ২০১২-১৩ সালে কন্টাক্টারী নিয়ে ইমান হাজীর ভাই মরহুম ইলিয়াস এর সাথে আমার সমস্যা দেখা দিলে আঙুরীকে দিয়ে আমার নামে ধর্ষণ মামলা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে মোহরী রফিকুল ইসলাম এর সহযোগিতায় আমি রক্ষা পাই।জাতসাখিনী ইউনিয়নের টাংবাড়ি গ্রামের সোহাগ হোসেন বিল্টু বলেন,প্রায় ১৫ বছর পুর্বে বন্ধু স্বপনের মাধ্যমে আঙুরীর সাথে আমার পরিচয়।

স্বপনের সাথে আঙুরীর অবৈধ স¤পর্ক ছিল। হঠাৎ একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি স্বপন কে আঙুরীর ঘরে আটকিয়েছে। সেখানে গিয়ে মান বাঁচাতে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে স্বপনকে নিয়ে আসি। আর এ রকম একটা নষ্ট মহিলার সাথে বাবু ভাই কে জড়িয়ে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে এটা ঠিক না। বসন্তপুর গ্রামের আব্দুল আওয়াল (৬০) বলেন, আঙুরী একজন চিহ্নিত দেহ ব্যবসায়ী। সে যুবকদের তার শরীরের যাদুতে ভুলিয়ে বøাকমেইল করতো। সে খরিদ্দারদের নিজ ঘরে আটকে রেখে বিয়ের ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়ে ছেড়ে দিত। বসন্তপুর গ্রামের রুস্তম বলেন, আঙুরী আমার কাছে চাঁদা দাবি করে না দিলে ধর্ষন মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। বসন্তপুর গ্রামের মৃত ফজের শেখের স্ত্রী ডলি (৮০) বলেন, আঙুরীর শরীরের পশমের চেয়ে ভাতার বেশি ছিল।বসন্তপুর গ্রামের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মমতা (৫২)বলেন, আঙুরী একজন চিহ্নিত দেহ ব্যবসায়ী ও বøাকমেইল । মানুষকে তার যৌন লালসার স্বীকার করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। একজন উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে যেকেউ আসতে পারে, কল করতে পারে ও সেলফি উঠতে পারে।

এরকম একটা ছবি দিয়ে কখনোও কারও চরিত্রে কলংক দেওয়া যায় না। আর দেড় মাস পুর্বে আঙুরীর মেয়ে আতœহত্যা করেছে, থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। সেগুলো কে ইস্যু করে দেড় মাস পরে কার ইশারায় এই নোংরামোর সেই রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান তারা। এ ব্যাপারে বেড়া উপজেলা পরিষদের স্বনামধন্য চেয়ারম্যান ও আমিনপুর থানা আওয়ামীলীগের সাধারন স¤পাদক রেজাউল হক বাবুর বলেন, আমি শপথ গ্রহনের পর থেকেই একটি কুচক্রমহল আমার পিছনে উঠে পড়ে লেগেছে, তারই ধারাবাহিকতায় একটি নাটকিয় ঘটনা সাজিয়ে আমার সুনাম নষ্ট করতে চায়।

আমি এই কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো । আর ওই কুচক্রীমহল যতই ষড়যন্ত্র করুক, তারা সফল হবে না। কারণ, এলাকার জনগণ আমার সাথে আছে। আমি সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি এবং আগামীতেও করতে চাই । এ জন্য সকলের দোয়া ও আশির্বাদ কামনা করছি।এদিকে, চেয়ারম্যান বাবুর বিরুদ্ধে নানান মাধ্যমে মিথ্যা ভাবে অপপ্রচার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জনসাধারণ ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

নভেম্বর ০৭,২০২২ at ১৮:৫০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/সর