রাণীশংকলৈে শক্ষিক হত্যা মামলার আসামীদরে গ্রফেতাররে দাবতিে মানববন্ধনে ৭২ ঘন্টার আল্টমিটোম

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে অলোচিত হত্যাকান্ড হোসাইন আলী নামে এক কোচিং শিক্ষককে হত্যা করায় আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে এবং সন্দেহজনক ৭ জন আসামীকে গ্রেফতার করে, তিন দিন থানায় রেখে আবার ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে,ভরনিয়া সম্পদবাড়ী এলাকাবাসীর উদ্যোগে সোমবার ৭ নভেম্বর সকাল ১১ টায় রাণীশংকৈলে পৌরশহরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে এদিন প্রায় তিন শতাধিক পুরুষ-নারী, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক মিলে, বিভিন্ন ফেস্টুন, ব্যানার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা পরিষদের প্রধান সড়ক দিয়ে থানা চত্বরে যায়। সেখানে প্রায় আধাঘন্টা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এনপর বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করে আবারো বিক্ষোভ করে। উপজেলা পরিষদ থেকে বের হয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা, ভাইসচেয়াম্যান শেফালি বেগম, ধর্মগড় ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যন আবুল কাশেম, ধর্মগড় ইউনিয়ন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যন সফিকুল ইসলাম মুকুল, পৌর আ.লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর সরকার, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান, সহকারী শিক্ষক মোকসেদ আলী, নিহত শিক্ষকের বাবা নুরুল হক এবং মা হোসনা খাতুন ।

প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বক্তারা পুলিশ প্রশাসনকে ৭২ ঘন্টার আল্টিমিটাম দিয়ে বলেন, যদি সময়ের মধ্যে আসামী ধরতে গড়িমসি করা হয়। তাহলে ধর্মগড়,কাশিপুরবাসীসহ রাণীশংকৈল আ’লীগ যুবলীগ ও এলাকাবাসি মিলে রাণীশংকৈল উপজেলাকে অচল করে দেওয়া হবে। হরতাল দেওয়া হবে। অতত্রব কোন গড়িমসি না করে দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করুন। নিহত শিক্ষকের মা হোসনা বলেন, কারা হত্যা করেছে আমরা বুঝতে পারছি, সন্দেহ জনক ব্যক্তিদের নাম পুলিশকে বলেছি। তারপরেও তারা আসামী ধরে ছেড়ে দিচ্ছে কেন? তাহলে কি টাকার বিনিময়ে আসামীদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ছেলে হত্যার বিচার কি তাহলে আমরা পাবো না। তিনি অবিলম্বে ছেলে হত্যার আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত: গত ২৭ অক্টোবর সকালে ভরনিয়া রাস্তা সংলগ্ন ধান খেতে একই ইউনিয়নের ভরনিয়া চেংমারী এলাকার নুরুল হোসেনের ছেলে হোসাইন আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় নিহতের পরিবার দাবী করেন এটি পরিকল্পিত হত্যা। রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল মুঠোফোনে বলেন, আগামী৭২ ঘন্টা নয়- ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।মানববন্ধন শেষে রাণীশংকৈল ইউএনও সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভের রবাবরে একটিি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপি পেয়ে ইউএনও বলেন, স্মারক লিপি পেয়েছি। বিষয়টির যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত প্রদক্ষেপ নেয়া হবে।

নভেম্বর ০৭,২০২২ at ১৮:৫৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/সর