জাবিতে অপ্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগে প্রতিবাদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে অস্থায়ী প্রভাষকের দুইটি পদে নিয়োগকে অপ্রয়োজনীয় উল্লেখ্য করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন উক্ত বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ। তারা মনে করেন এ নিয়োগ অপ্রাসঙ্গিক ও শিক্ষকপদের অপব্যবহার। রবিবার (৬ নভেম্বর) এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ প্রতিবাদ গণমাধ্যমকে জানান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষকরা বলেন, গতবছর ৩০ নভেম্বর, বিভাগের সাবেক সভাপতির ব্যক্তিগত আগ্রহ এবং উদ্যোগের মাধ্যমে দুটি অস্থায়ী প্রভাষক পদে নতুন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। বিভাগীয় কোন সভার সিদ্ধান্ত ছাড়া এবং কোন ব্রাঞ্চ উল্লেখ না করে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করার মাধ্যমে বিভাগের ঐতিহ্য ভঙ্গ করা হয়েছে।

এতে বিভাগের শিক্ষকরা মর্মাহত, অপমানিত বোধ ও সংক্ষুব্ধ হয়ে তৎকালীন সভাপতির নিকট বিষয়টি বিভাগীয় সভায় আলোচ্যসূচিভুক্ত করে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য জোরালো দাবি উত্থাপন করেন। পুনঃবিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হলেও বাস্তবায়ন করা হয়নি। অথচ সাবেক সভাপতি তার মেয়াদের শেষ মাসে এসে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত কার্যক্রম শুরু করেন। একই কোর্স লোড সম্পন্ন বিভাগের অন্যান্য ডিসিপ্লিনে যেখানে সর্ব্বোচ্চ দুজন শিক্ষক কর্মরত আছেন সেখানে শিক্ষক নিয়োগ হলে বিভাগের কোন উপকার হবে না।

বরং শিক্ষকগণ আশংকা করেন এতে কোর্স বন্টন এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিভাগে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। উক্ত নিয়োগের ব্যাপারে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক সভাপতি ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ নুহু আলম বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক নিয়ম পালন করেই হয়েছে। প্রসঙ্গত, উক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনঃবিজ্ঞাপন প্রদানের অনুরোধ করে ৩০ অক্টোবর উপাচার্য মোঃ নূরুল আলম বরাবর উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের নবনিযুক্ত সভাপতি অধ্যাপক ছালেহ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত এক লিখিত অনুরোধ লিপি প্রেরণ করা হয়।

এদিকে একাদিক সিন্ডিকেট সদস্য সূত্রে জানা যায়, আজকে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় উক্ত নিয়োগকার্য সম্পন হয়েছে। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ছালেহ আহাম্মদ খান জানান, যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে একজনের উচ্চতর ডিগ্রী নেই এবং অন্যজন তার স্নাতকোত্তরে থিথিস করেননি। এ নিয়োগে বিভাগের উপকার নয় বরং কোর্স বন্টনে আরো অসুবিধার সৃষ্টি হবে। বিভাগের একাদিক শিক্ষক সূত্রে জানা যায়, নিয়োগ প্রাপ্ত একজন ভালো ইংরেজি লিখতে পারেন। উনাকে নিয়োগ দিলে জমে থাকা রিসার্চ পেপার এর কাজ করিয়ে নেওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেছিলেন বিভাগের সাবেক সভাপতি।

নভেম্বর ০৬,২০২২ at ২১:৪১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/সর