মতলব উত্তরে শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

নিরাপদ কর্মক্ষেত্র আমাদের দাবী নয়- অধিকার’ এই স্লোগান নিয়ে মতলব উত্তর উপজেলার রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজী মহিউদ্দিন জামান কর্তৃক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির খানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ নভেম্বর রবিবার সকালে উপজেলা ক্যাম্পাসে মানববন্ধন এবং বটতলায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি মতলব উত্তর শাখা কর্তৃক আয়োজিত এ কার্যক্রমে ১৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ শতাধিক শিক্ষকের সমাগম ঘটে। বর্তমানে ওই শিক্ষক হুমায়ুন কবির ও তার মেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আরো পড়ুন:
ক্ষেতলালে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, অনুপস্থিত-২৯

চাঁদপুর জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন প্রধানের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক নেতা আনোয়ারুল কবির ও মাহফুজুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় শিক্ষক নেতাদের মধ্যে বক্তবা রাখেন, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন ও ছৈয়দ আহমেদ বুলবুল, মামুনুর রশিদ, নুরে আলম সিদ্দিকী, কোহিনুর আক্তার, সুখরঞ্জন বিশ্বাস, সালমা পারভীন, কুলসুম আক্তার, খায়ের উদ্দিন, শাহ আলম, আশেকুজ্জামান, তাহমিনা আক্তার, ফরিদ উদ্দিন, মহসীন মিয়া, আব্দুল হালিম, আব্দুল হান্নান, রাজীব ঢালী, শ্যামল কুমার বাঢ়ৈ প্রমূখ।

জানা গেছে, গত ৩ নভেম্বর স্কুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরিচালনা কমিটির সভাপতির অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে এসএমসি’র সভাপতি মহিউদ্দিন জামানের নেতৃত্বে লোকজনরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির ও তার মেয়েকে মারধর করে। স্থানীয় লোকজন প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির ও তার মেয়েকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে এবং এখনো তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, শিক্ষকরা হচ্ছেন জাতি গড়ার কারিগর। শিক্ষক যদি লাঞ্চিত হয় তাহলে জাতি লাঞ্চিত হওয়ার বাকি থাকে না। শিক্ষককে মারধর একটি ঘৃণিত কাজ। তাই আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।

বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষক হুমায়ুন কবির খানকে যারা মারধর করেছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত শাস্তি দিতে হবে। না হলে আরো কঠোর আন্দোলন করা হবে। এমনকি ক্লাস বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা চাই উক্ত ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান হোক। এবং আগামীদিনে যাতে এধরণের মর্মান্তিক ঘটনা আর না ঘটে। তাহলে শিক্ষক সমাজের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। পরে শিক্ষকের উপর হামলা ও মানববন্ধনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসানের নিকট লিখিত ভাবে জানানো হলে তিনি সুঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচারের ব্যবস্থায় সহযোগিতা করার আশ্বাস ব্যক্ত করেন। এদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ইকবাল হোসেন ভুঞা বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তদন্ত অপুর্ব প্রতিবেদনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের নিকট জানানো হবে।

নভেম্বর ০৬,২০২২ at ১৭:৫৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/সর