আগামী ১৩ নভেম্বর ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে পুনরায় সভাপতি হচ্ছেন আব্দুল হাই

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৩ নভেম্বর।কে হচ্ছেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি,বা কার হাতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পদ? এমন প্রশ্ন জেলা থেকে তৃণমূলের মুখে মুখে। আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতারা বলছেন, নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে দলের জন্য যারা সব সময় কাজ করেছেন। নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকায় মানুষের পাশে ছিলেন,গণভিত্তি ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন এমন নেতাই হবেন এবার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। তিনি আর কেউ নন , তিনি হলেন বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও একজন মানবিক সৎ জনবান্ধব নিষ্ঠাবান ও সফল প্রতিমন্ত্রী,এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই এমপি।

আরো পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিক ছেলেকে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহতের ঘটনায় আটক-২

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ঝিনাইদহ জেলার রাজনীতিবিদ, ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল হাই এমপিই আগামী ১৩ নভেম্বর ২০২২ ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হবেন এমন কথা এখন জেলা জুড়ে তৃণমূলের মুখে মুখে।
আব্দুল হাই এমপিই ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ফয়জুদ্দীন মোল্লা। আব্দুল হাই ১৯৬৪ সালে তিনি শৈলকুপার বসন্তপুর হাইস্কুলে ৮ম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং তিনি বসন্তপুর স্কুল কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজে ভর্তি হন। এ সময় তিনি কেসি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

ছাত্রজীবন থেকেই মো: আব্দুল হাই রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত হন। তিনি ১৯৬৮ সালে মহকুমা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ১৯৬৯ সালে সরকারি কেসি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। একই বছর তিনি বৃহত্তর যশোর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি ঝিনাইদহে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন। দেশ স্বাধীনের পর তিনি ঝিনাইদহ যুবলীগের আহ্বায়ক ও ১৯৭৩ সালে যুবলীগের মহকুমা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯৯৮ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালে আব্দুল হাই ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।

২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগের চরম দুঃসময়ে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সময়ে দলের দূর্দিনে নানা প্রতিকুলতার মধে সংগঠনকে সুসংগঠিত করেছেন এবং জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হামলা, মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। তবু কখনো পিছুপা হইনি তিনি। আব্দুল হাই এমপি শৈলকুপা বাসির গর্ব ও অহংকার। আব্দুল হাই এমপি তৃণমূল থেকে উঠে আসা জীবন্ত কিংবদন্তি মানবিক নেতা, মুজিব আদর্শের রাজপথের পরীক্ষিত অকুতোভয় সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সোনালী অর্জন, ঝিনাইদহ-শৈলকুপা আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সাংসদ আব্দুল হাই এমপি ঝিনাইদহ জেলা তথা শৈলকুপা উপজেলার লক্ষ নেতাকর্মীর আশ্রয়স্থল, মানবতার ফেরিওয়ালা।

আব্দুল হাই এমপি একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শৈলকুপা গণমানুষের অতি কাছের মানুষ তিনি। নীতি-নৈতিকতা তার অনন্য সম্পদ। আব্দুল হাই এমপি ঝিনাইদহ জেলা ও শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং ঝিনাইদহ জেলা ও শৈলকুপা আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন তিনিই।একজন সৎ ও আদর্শবান রাজনীতিক হিসেবে তিনি এ জেলাতে পরিচিত। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আব্দুল হাই একজন দক্ষনেতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সোনার বাংলা বিনির্মাণ তার একমাত্র লক্ষ্য।

নভেম্বর ০৬,২০২২ at ১৪:১৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/সর