জাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিগত কয়েকটি প্রশাসনের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন এক সাবেক অধ্যাপক। এসব অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর জমা দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:
বিএনপির আমলে উন্নয়ন আর আ’লীগের আমলে দুর্ভিক্ষ : মির্জা ফখরুল

শনিবার বিকেলে (৫ই নভেম্বর) অনলাইনে সংবাদ সম্মেলন করেন অভিযোগকারী উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আকন্দ মামুন। ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে আচরনবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে অব্যাহতিপ্রাপ্ত উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপক বলেন, ‘দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় তাকে ষড়যন্ত্রমূলক শাস্তি দেওয়া হয়।’ সংবাদ সম্মেলনে আলী আকন্দ মামুন জানান, গত ১ নভেম্বর দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর ৬ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।

অভিযোগপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবীর, অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল বায়েসসহ বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। আলী আকন্দ মামুনের দাবি, ‘বিগত চারজন উপাচার্যের আমলে নিয়োগ বাণিজ্য, ভর্তি জালিয়াতি, প্রশ্ন ফাঁস, যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতি এবং পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তনের মতো ঘটনা ঘটেছে।

এ ছাড়া অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ১৪৪৫ কোটি টাকার অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম সংঘটিত হয়। আর বর্তমান উপাচার্য ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়া প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব পেলেও তা করেননি।’ জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, ‘২০০৯ সালের ঘটনা, এই মুহূর্তে আমি মনে করতে পারছি না।’ আর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও রিসিভ করেননি।

নভেম্বর ০৫,২০২২ at ১৯:৫৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/সর