নতুন দুই রুটে দেশে ঢুকছে ইয়াবা

ইয়াবা চোরাচালানের দুই নতুন রুট তৈরি করেছে মাদক কারবারিরা। মাদক চোরাচালানের জন্য ভারতের ত্রিপুরা এখন একটি করিডোর। এই করিডোর ব্যবহার করে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক মিয়ানমার থেকে ভারতের মিজোরাম ও আসাম হয়ে ত্রিপুরায় পৌঁছায়। সেখান থেকে বাংলাদেশে আসে। আরেকটি রুট বা করিডর হচ্ছে মণিপুর। মিয়ানমার থেকে এ রুটে ইয়াবা আসছে মণিপুরে, সেখান থেকে ত্রিপুরা হয়ে বাংলাদেশে আসছে।
মাদক চোরাচালানের নতুন এই দুই রুটের সন্ধান পাওয়ার কথা বলছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। মাদক চোরাচালানের বিষয়টি ভয়াবহ উল্লেখ করে অধিদফতর বলছে, এ দুই রুটের কারণে ইয়াবা চোরাচালান এখন আগের চেয়ে সহজ হয়ে গেছে। চাহিদা ও জোগান কোনোটিই কমানো যাচ্ছে না। এ কারণে এর প্রবেশ ঠেকালেও নতুন নতুন রুট বের করছে কারবারিরা।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 2022

ইয়াবা কারবারিরা আগে সাগরপথে চালান এনে শুধু জলপথ ধরে মূল ভূখণ্ডে ছড়িয়ে দিত। ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা হয়ে ইয়াবার চালান ঢাকাসহ সারা দেশে সরবরাহ করা হতো। প্রচলিত এ রুটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অব্যাহত অভিযানে কৌশল পাল্টেছে কারবারিরা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান রসায়নবিদ ড. দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, ত্রিপুরার সঙ্গে আমাদের ল্যান্ড বর্ডার। এ ছাড়াও আরেকটা হচ্ছে, মিয়ানমার থেকে মণিপুর। ভারতের দুই অঙ্গরাজ্য হয়ে বাংলাদেশে মাদক প্রবেশ করছে।

প্রতিদিন শুধু রাজধানীতেই বিভিন্ন অভিযানে ঢাকা মহানগর পুলিশ মাদকসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার করে ৭০ থেকে ৮০ জনকে। জানা যায়, দেশের কারাগারগুলোতে মোট আসামির ৭০ ভাগই মাদক মামলার। এদের বেশিরভাগই শুধু বাহক।মাদকে লগ্নিকারী কিংবা এই রমরমা বাণিজ্যের পৃষ্ঠপোষকরা রয়ে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সুফল পাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক।তিনি বলেন, যারা মাদক চোরাচালানে মাদক বাহক তৈরি এবং মাদক বিস্তারের নেটওয়ার্ক যারা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের আইনের আওতায় আনা না হলে মাদকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযান কাজে আসবে না।

নভেম্বর ০৫,২০২২ at ১২:১১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/সর