কিডনির চাপ বাড়ায় অতিরিক্ত পটাসিয়াম

কিডনি শরীরের একটি ছোট অঙ্গ, যার আকৃতি দেখতে শিমের বিচির মতো। এটি বর্জ্য পদার্থকে পরিশোধন, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, হরমোন নিঃসরণ, শরীরে তরল পদার্থের ভারসাম্য রক্ষা, প্রস্রাব তৈরি এবং অন্য অনেক প্রয়োজনীয় কাজ করে থাকে। সারা দিন শরীরের সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফেট অর্থাৎ ইলেকট্রলাইটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কিডনি ভূমিকা পালন করে। দীর্ঘমেয়াদি কিডনির সমস্যা থাকলে পটাসিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

আরো পড়ুন:
ইজিবাইক চোর সিন্ডিকেটের, দুইজনকে গ্রেফতার

তখন শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আবার শরীরে অতিরিক্ত পটাসিয়াম তৈরি হলেও মুশকিল। তখন কিডনির ওপর চাপ বাড়তে পারে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, ধূমপান, জেনেটিকস, লিঙ্গ এবং বয়স কিডনি রোগীর ঝুঁকি অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। খাদ্যতালিকা প্রস্তুতের সময় অবশ্যই ব্যক্তির অন্য শারীরিক সমস্যাগুলোকে আমলে রেখে খাদ্যতালিকা প্রস্তুত করতে হবে। খাদ্যতালিকা বা ডায়েটচার্ট ছাড়াও আরো কিছু বিষয়ে রোগীকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন—

কিডনি রোগীর খাদ্যতালিকা

♦ পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহ করা এবং নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করা

♦ কিডনির কার্যকারিতা ঠিক রাখা

♦ রক্তের সোডিয়াম, পটাসিয়াম, গ্লুুকোজ, ইউরিক এসিড, ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ঠিক রাখা

♦ ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে এই সব মাত্রার পরিমাণ সম্পর্কে নির্দিষ্ট সময় পর পর জেনে নেওয়া

♦ নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি গ্রহণ করা

পটাসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন

অতএব, কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই একটি বিশেষ ধরনের ডায়েট অনুসরণ বা কিডনি রোগীর খাবার কেমন হবে, তা জানা এবং মানা প্রয়োজন। পটাসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেনে রাখা প্রয়োজন কোন কোন খাবারে বেশি পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে। সব ধরনের ডাল, সয়াবিন, বিট, ফুলকপি, সজিনা, মিষ্টিকুমড়ার বিচি, বাদাম, সরিষা, খেজুর, কলা, কদবেল, বার্লি, ডাবের পানি, আলু, পালং শাক, পুঁই শাক, মুলা শাক, কলমি শাক, পাট শাক ইত্যাদিতে পটাসিয়াম থাকে বেশি পরিমাণে।

অন্যদিকে, বেগুন, গাজর, শসা, আনারস, বেদানা, বিচি ছাড়া পটোল, বাঁধাকপি, কাঁচা পেঁপে, মুলা, আপেল, নাশপাতি, লিচু, কমলা, পাকা পেঁপে, তরমুজ, লাউ, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, চালকুমড়া, ধুন্দুল ইত্যাদি কম পটাসিয়ামযুক্ত খাবার।

নভেম্বর ০৫,২০২২ at ০৮:৫৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/সর