সুনামগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ছবি বাতিল করে সামালোচনার মুখে এমপি রতন

সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলা চত্বরে এডিবি’র বরাদ্দ থেকে কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই কোটেশনের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা ব্যায় দেখিয়ে মাত্র ৩লাখ টাকায় জাতির জনকের ছবি বাদ দিয়ে স্থানীয় এমপি রতন ও তার ভাই ধর্মপাশা উপজেলা চেয়ারম্যান রুকনের ছবি ব্যবহার করায় প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে।মঙ্গলবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতির জনকের ছবি বাদ দিয়ে সরকারী টাকায় এমপি রতন ও তার ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান রুকন এর ছবি ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় উঠে। নানান অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সুনামগঞ্জ-১ আসনের বির্তকিত এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন আবারও আলোচনার শীর্ষে জেলা জুড়ে।

সরকারী টাকায় নির্মিত মুর‌্যালে জাতির জনকের ছবি বাদ দিয়ে রতন রুকনের ছবি সংযুক্ত করায় জাতির জনককে চরম অপমানকারী এমপি ও তার ভাইয়ের দৃষ্টান্তমুলক শান্তির দাবি জানিয়ে মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্য্য নির্বাহী কমিটির সদস্য সাজেদা আহমেদ স্মারক লিপি দাখিল করেছেন।সাজেদা আহমেদ জানান, বঙ্গবন্ধুর মুর‌্যাল স্থাপন না করেই এই ত্রয়ী মুর‌্যালটি স্থাপনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গুরুত্বহীন করার অপচেস্টা কারীদের আইনানুগ শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। সেই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুর‌্যালকেও বিকৃত করে রতন-রুকন ভ্রাতৃযুগলের প্রতিকৃকি সম্বলিত ত্রয়ী মুর‌্যাল নির্মান করেও প্রধানমন্ত্রীকে হেয় প্রতিপন্ন করার দৃষ্টতা প্রদর্শনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে চরম উত্তেজনা ও নিন্দার ঝড় বইছে।

মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ জানান, জাতির জনকের ছবি বাদ দিয়ে স্থানীয় এমপি ও তার ভাই অন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুকনের ছবি ব্যবহারের তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছি।সেই সাথে বঙ্গবন্ধুকে তিরস্কারকারী এমপি রতন ও তার ভাই রুকনের ছবি সরানো সহ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।এ ব্যাপারে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির হাসান জানান, ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে এডিপি’র বরাদ্দ থেকে মধ্যনগর উপজেলা চত্বরে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানশন্ত্রীর ছবি সম্বলিত মুর‌্যাল তৈরীর নির্দেশনা ছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত মুর‌্যালের ছবি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। অন্য কাহারো ছবি ব্যবহার করা হলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হবে।

‘সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, দুই ভাইয়ের ছবি স্থাপনে কোন পারমিশন নেয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সাথে কোন তুলনা হয় না। বঙ্গবন্ধুর মুর‌্যালের সাথে অন্য কাহারো ছবি দেয়া যাবে না। এ বিষয়টি আমার জানা নাই। এখন জানলাম। আমি খোঁজ খবর নিব।’এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ-১আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এর বক্তব্য জানতে চাইলে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ০১৭১৫০২০৮৩৩ এর কয়েক দফায় কল দিলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

নভেম্বর ০২,২০২২ at ১৪:১১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দপস/এমএইচ