হাতীবান্ধায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় হেলথ এন্ড মেডিকেয়ারে “সিজার করে রংপুর মেডিকেল কলেজে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে মা” শিরনামে ফেসবুক পেজে ভিডিও ছাড়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাতে সংবাদ সম্মেলন করেন ঐ ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালক কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবিউল আলম ও চেয়ারম্যান ডাঃ তৌফিক আল আমিন। এ সময় রোগীর আত্মীয় স্বজন উপস্থিত ছিলেন।প্রতিবাদ লিপিতে রবিউল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হেলথ এন্ড মেডিকেয়ার সেন্টারটি সরকারের নিয়ম কানুণ মেনে সঠিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ফলে জনগণের কাছে আস্থা অর্জন করেছে। যার ফলে সরকার প্রতিষ্ঠানটিকে লাইসেন্স দিয়ে বৈধতা দিয়েছে।

আরো পড়ুন:
কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২২ উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কিছু স্বার্থন্বেশি মহল স্বার্থের বিনিময়ে সিজারিত রোগীকে ফুসলিয়ে সাংবাদিকের সামনে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ডাঃ তৌফিক আল আমিন বলেন, ২৪ অক্টোবর রাতে উপজেলার বাড়াইপাড়া এলাকার লাইজু বেগম নামে এক প্রসূতি মা বিলম্বিত প্রসব বেদনায় ছটফট করলে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় ক্লিনিকে নিয়ে আসেন সাবেক ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম আলম। অপারেশন পূর্ববর্তী সময়ে পরিক্ষা নীরিক্ষা করে দেখা যায় রোগীর রক্তে অনেক ইনফেকশন রয়েছে। যার ফলে ঐ প্রসূতি মায়ের সিজার করতে অপারকতা প্রকাশ করা হয়।

এসময় রোগীর অবস্থা ও আত্মীয় স্বজনদের বিশেষ অনুরোধে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে তার অপারেশন করতে বাধ্য হই। অপারেশনের ৪৮ ঘন্টার পর জরায়ুর সমস্যার কারনে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ফলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঐ রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়। ঐ রক্ত ক্ষরনের সাথে সিজারের কোনো সম্পর্ক নেই। যা ইতিমধ্য রংপুরের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিক্ষা করে জানতে পেরেছেন। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য স্বার্থের বিনিময়ে রোগীকে প্রলোভন দেখিয়ে জরায়ু সমস্যাকে সিজারের সমস্যায় রুপান্তিত করে সাংবাদিকের সামনে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে।

যার ভিডিও ক্লিপ একটি ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়। ফলে আমাদের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটির সু-নাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। রোগীর আত্মীয় সাবেক ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম আলম বলেন, সিজারের ৪৮ ঘন্টা পর আমার ভাগ্নীর জরায়ু দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পর রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়। বর্তমানে সে সুস্থ রয়েছেন। মেডিকেলে বিভিন্ন পরিক্ষা নিরীক্ষার পর ডাক্তারের কাছে জানতে পারি এটা সিজার জনিত কোন সমস্যা নয়। শরীরিক অন্যান্য সমস্যার কারনে তার জরায়ু দিয়ে সাময়িক রক্তক্ষরণ হয়েছিলো। যার ফলে আমদের ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই।

অক্টোবর ৩১,২০২২ at ১১:১৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/সর