পাইকগাছায় মৎস্যপোনা উৎপাদনকারী খামার মালিকদের ৭ দফা দাবীতে স্মারকলিপি

রপ্তানিযোগ্য মৎস্য চিংড়ী ও মৎস্যপোনা উৎপাদনকারী খামার মালিকদের বঞ্চনা দুর করতে ৭ দফা দাবীতে জেলা প্রশাসক দপ্তরে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী, মৎস্য মন্ত্রী, ও মৎস্য সচীব বরাবর । রোববার সকালে স্মারকলিপি প্রদান করেন ফিসফার্ম এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ফোয়াব) নেতৃবৃন্দ। খুলনা,সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট এলাকা ৮০ এর দশকে এ চাষ শুরু হয়।

আরো পড়ুন:
পাইকগাছায় ৫০ বোতল ফেনসিডিল ও গাজাসহ আটক-৩

যা গার্মেন্টসের পর রপ্তানিতে বিশেষ অবদান রাখছে। নানাবিধ কারণে এ খাতটি আজ প্রায় ধ্বংসের মুখোমুখি। খাতটি ধরে রাখতে ৭ দফা দবীতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগ সেন্টিকেটের কারছে চিংড়ীর দাম আন্তর্জাতিক বাজার অপেক্ষা অর্ধেক দামে বিক্র হচ্ছে।ফলে ৩ লাখ মৎস্য ও চিংড়ী খামারি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ।

আঁধা-নিবিড় পদ্ধতিতে চাষ করে প্রতিবছর হেক্টর প্রতি ৬ থেকে ১০ টন চিংড়ী উৎপাদন হচ্ছে। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা ও সঠিক নিয়ম কানুন থাকলে এ উৎপাদন ২০ থেকে ২৫ টনে উন্নীত করা সম্ভব বলে ফোয়াব নেতৃবৃন্দ জানান। দ্বিতীয় বৃহত্তম এ রপ্তানি খাত যাতে ধ্বংস না হয় এজন্য ৭ দফা দাবীতে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। তাহলো-(১) মৌসুমীর আপদকালীন সময় সরকারীভাবে রপ্তানিযোগ্য মাছ ও চিংড়ী খামারীদের নিকট থেকে কিনতে হবে।(২) আন্তর্জাতিক বাজারের মুল্য রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও মৎস্য অফিসের মাধ্যমে উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারদের নিয়ে নির্ধারণ করতে হবে।

(৩)প্রক্রিয়াজাতকারী কারখানা যাতে পুশ চিংড়ি অশুভ সান্টিকেটের কাছ থেকে না কেনে সেজন্য শক্তিশালী মনিটারিং জোরদার করতে হবে।(৪) প্রক্রিয়াজাতও রপ্তানিকারক রপ্তানিতে প্রনোদনা,মাছ ও চিংড়ী ক্রয়ে স্বল্প সুদে ঋণ পায় তার সুব্যবস্থা করতে হবে।(৫) কৃষির ন্যায় এ সেক্টরে বিদ্যুৎ বিল সরবরাহ করতে হবে।(৬) রোগমুক্ত চিংড়ী পোনা সরবরাহ নিশ্চিৎ করতে ব্যবস্থা নিতে হবে।(৭) মৎস্য ও চিংড়ী রপ্তানিতে আইনী বাঁধা দুর করতে হবে।

অক্টোবর ৩০,২০২২ at ১৮:০০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস