যবিপ্রবির ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সনদ জাল!

শনিবার যবিপ্রবির সর্বোচ্চ রিজেন্ট বোর্ডের ৮২তম সভা।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) কর্মরত নয়জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সনদ জালের সত্যতা পেয়েছে এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলতি আইন ও শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ রিজেন্ট বোর্ডের ৮২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এর আগে সনদ যাচাই সংক্রান্ত তিনটি আলাদা কমিটি তাদের প্রতিবেদন রিজেন্ট বোর্ডে জমা দেয়। রিজেন্ট বোর্ড প্রতিবেদন গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের অনেকে ভার্চুয়ালি ও অনেকে সশরীরে সভায় অংশ নেন।

গৃহীত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী জাল ও অবৈধ সনদধারী ছয়জন কর্মকর্তা হলেন, সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) মো. মহিদুল ইসলাম (স্নাতকোত্তর, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়), টেকনিক্যাল অফিসার মো. হেলালুল ইসলাম (স্নাতক, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যলয়), টেকিনিক্যাল অফিসার মো. জাহিদ হাসান (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) মো. জাহাঙ্গীর আলম (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) মো. সাকিব ইসলাম (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) মোছা. হাসনা হেনা (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়)।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী জাল ও অবৈধ সনদধারী তিন কর্মচারী হলেন, মেকানিক মো. জাকির হোসেন (স্নাতক, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়), সিনিয়র ক্লিনার দিলীপ হরিজন (অষ্টম শ্রেণি), ক্লিনার বাসুদেব দাস (অষ্টম শ্রেণি)।

রিজেন্ট বোর্ড একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী যবিপ্রবির কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ শাহরিয়ার বিন রসুলকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের অনুমোদন দেয়। তিনি যবিপ্রবির কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. অছিকুর রহমানের তত্ত্বাবধানে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।