প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তালিকার মাদকবিক্রেতা লড়ছেন জেলা পরিষদ নির্বাচনের সাধারণ সদস্য পদে

মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৭ অক্টোবর। ইতিমধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের এক প্রতিবেদনে মাদবদ্রব্য চোরাকারবারি ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানকারী অসাধু রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের তালিকায় নাম রয়েছে মানিকগঞ্জের বেশকিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের নাম ইতিমধ্যে সে বিষয়ে কয়েকটি দৈনিকে সংবাদ প্রচার হয়েছে যাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে। সেখানে আবুল বাশার নামে মানিকগঞ্জের একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তির নাম রয়েছে যিনি মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।

তালিকাভুক্ত মাদকবিক্রেতাদের কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা এবিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান কোন ব্যাক্তি যদি ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয় তাহলে সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না যেহেতু তার দুইবছরের বেশি সময় সাজা হয়নি সেহেতু আইন অনুযায়ী তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

এই বিষয়ে আবুল বাশার বলেন এই বিষয়ে অনেকের নাম এসেছে এবং নির্বাচনের ঠিক পূর্ব মূহুর্তে এইধরনের তথ্য প্রকাশ করে সাংবাদিকদের দেওয়ার পেছনে কোন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রয়েছে জানান তিনি।

উল্লেখ্য ঢাকা বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলার মাদক চোরাকারবারি, মাদকবিক্রেতাদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানকারী অসাধু ব্যাক্তিদের নিয়ে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি প্রতিবেদনে আবুল বাশার সহ মানিকগঞ্জের বেশ কয়েকজনের নাম এসেছিল। এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী হিসেবে বেশ কয়েকজনের নাম এসেছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মানিকগঞ্জের এক আওয়ামীলীগের নেতা জানান বর্তমানে অনেক অনুপ্রবেশকারী সংগঠনের সাথে জরিয়ে থেকে অবৈধভাবে সম্পদশালী হওয়ার চেষ্টা করছে, এ বিষয়ে তিনি বলেন কোন ব্যাক্তিকে সংগঠনের বড় দায়িত্ব প্রধান করার ক্ষেত্রে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে পদায়ন করা প্রয়োজন।

অক্টোবর ১৬,২০২২ at ১৮:৩৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/হজর/শই