ঝিকরগাছার পল্লীতে এক গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পল্লীতে এক গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠেছে। তার মৃত্যু হয়েছে হত্যায় নাকি আত্যহত্যায় এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। এনিয়ে গ্রামবাসির মাঝে দেখা দিয়েছে নানা কৌতুহল। ঘটনাটি উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের মহেশপাড়া গ্রামে ঘটেছে। তবে পুলিশ বলছে, ময়না তদন্তে বোঝা যাবে এটা হত্যা নাকি আতœহত্যা। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ ময়না তদন্তে নিয়েছিল পুলিশ।

সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়, রোববার বিকালে উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের মহেশপাড়া গ্রামের আহসান রেজার স্ত্রী সেলিনা খাতুন(৩০) কে তার নিজ ঘরের শয়নকক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে বেডের উপরে হাঁটু ভেঙ্গে থাকতে দেখা যায়। এসময় তার এক চাচাশশুর সেলিনা খাতুনের পিতা র্শার্শা উপজেলার বালুন্ডা গ্রামের কদর আলীকে খবর দিয়ে তিনি এসে মেয়ের লাশ নামান। এর আগে সেলিনার শশুর বাড়ির লোকজন কেউ সেই লাশ নামায়নি। ফলে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেন গৃহবধু সেলিনার লাশ তার শশুর-শাশুড়ি নামালো না? কেন তার বাবার বাড়িতে সেলিনার মৃত্যুর খবর জানালো না? তাহলে কি সেলিনা আত্যহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে? এপ্রশ্ন দেখা দিয়েছে গ্রামবাসীর মাঝে? তবে সেলিনার শশুর মাস্টার আজিজুল ইসলাম ও তার ছেলে পলাতক রয়েছে। তবে ঝুলান্ত লাশের ছবি দেখে আত্যহত্যা করেছে, সেটা বোঝা যাবে না। তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে যে কেউ বুঝতে পারবে। কারণ গলায় দড়ি দিলে তার মৃত দেহ উপরে ঝুলে থাকবে কিন্তু তার মৃত দেহ বেডের উপরে হাঁটু ভেঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা ছিল।

আরো পড়ুন :
বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস পালিত হলো কুবির ফার্মেসি বিভাগে
জেলা পরিষদ নির্বাাচনের প্রতিক বরাদ্দের সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

এব্যাপারে সেলিনা খাতুনের পিতা কদর আলী এ প্রতিনিধিকে জানান, মেয়ের এক প্রতিবেশী চাচা শশুর আমাকে ফোন দিয়েছে। আমার আসতে প্রায় ৪০/৪৫ মিনিট সময় লেগেছে। এসে দেখি ২য়তলায় আমান মেয়ের বেডরুমে বেডের উপরে হাঁটু ভেঙ্গে আমার মেয়ে ঝুলে আছে। তাদের বাড়ির কেউ নেই। কেন আমার মেয়েকে নামানো হলো না? এক প্রশ্নে জবাবে তিনি জানান, আমার কাছে তার সমস্যার কথা বলতে চেয়েছিল কিন্তু বলি। আমাকে জানায় আমাদের বাড়িতে যেয়ে তারপর বলবে কিন্তু আমার বাড়িতে যাওয়া হলো না তার। স্থানীয় ইউপি সদস্য আলাউদ্দীন জানান, আহসান রেজার সাথে সেলিনার প্রথম বিয়ে হয়। পরে এদের তালাক হলে উভয়ই নতুন জায়গায় বিয়ে করে। সেখানে সেলিনার এক মেয়ে ও আহসান রেজার দুই সন্তান রয়েছে। পরে এদের দুজনের মধ্যে আবারও যোগাযোগ হলে আহসান রেজা তার ২য় বউ ও সেলিনা তার ২য় স্বামীকে তালাক দিয়ে তারা আবারও ঘর-সংসার শুরু করে। তবে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিল না বলে লোকমুখে শোনা যাচ্ছিল।এব্যাপারে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত এ প্রতিনিধিকে জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটা আত্যহত্যা। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে পরিস্কারভাবে জানা যাবে। তবে ঘটনায় সেলিনার পিতা কদর আলী বাদি হয়ে থানা একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে।

সেপ্টেম্বর ২৬,২০২২ at ১৯:৩৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /এআ/এমএইচ