পাঁচবিবিতে জোরপূর্বক বাড়ী নির্মাণে বাধা দেওয়ায় প্রাণ নাশের অভিযোগ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বিবাদমানন জমিতে জোরপূর্বক ইটের বাড়ী নির্মাণে বাধা দেওয়াই জমির মালিককে মারপিট ও প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আকবর আলী পাঁচবিবি থানা ও উপজেলা নির্বাহী বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বেলখুর গ্রামে ঘটে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বেলখুর মৌজার সিএস খতিয়ান নং- ৬১ ও এম আর নং ১৭৬ এর ২৫ শতক সম্পত্তিতে একই গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে সামছুদ্দিন (৫৫), সাখাওয়াত হোসেন (৪৮), ছামসদ্দিনের ছেলে আজিজুল(৩৫) ও নাজির উদ্দিন জোর পূর্বক ভাবে ইটের ঘরবাড়ী নির্মাণ কাজ করলে আকবরের স্ত্রী মিনারা খাতুন তাদের কে বাধা প্রদান করেন। এসময় প্রতিপক্ষরা মারপিট সহ তাদের প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।

উল্লেখিত জমির মালিকানা বিষয়ে জেলা যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে আকবর আলী বাদী হয়ে গত ২৪/০৮/২০২১ই তারিখে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ২৭১/২১।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বিবাদমান সম্পত্তিটি বিগত ২৩/০৬/১৯৭৩ সালে ৮৭৮৪ নং দলিল মূলে বুলিমন বিবির ১.৫০ শতক অংশ সম্পত্তি মৃত ছিফাতুল্লার ছেলে মৃত পিয়ার মাহমুদ ও হাতেম আলী এবং হাজী আজিমুদ্দিন ও মহাতাব আলীর নিকট বিক্রয় করেন। একই বছর ঐ দলিলের ৪মাস পর ১১/১০/১৯৭৩ইং সালে একই সম্পত্তিটি বুলিমন বিবি পুণরায় একই গ্রামের মৃত কিফাতুল্লহ মন্ডলের ছেলে আব্দুল গফুর ও আবুল হোসেন মন্ডলের নিকট ২২২১৯ নং দলিল মূলে বিক্রয় করেন।

যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বেলখুর গ্রামের দারাজ উদ্দিন বলেন, ২২২১৯ নং দলিলটি পরে করা তাই আইনে টিকবে না । জমি ভোগদখলকারী সামছুদ্দিন মন্ডল বলেন, দীর্ঘ ৫০বছর ধরে আমরা জমিটি ভোগ দখল করে আসছি। আইনে পেলে আমরা ছেড়ে দিতে বাধ্য।

ভুক্তভোগী আকবর আলী বলেন, আমার বাবা ও হাতেম আলী, হাজী আজিমুদ্দিন এবং মহাতাব আলী একই দলিলে জমি ক্রয় করেন। অন্য ক্রেতারা বিবাদীদের আত্মীয়তার সূত্রে যোগসাজসে রেকর্ডের সময় আমাদের ৮৭৮৪ নং দলিলটি গোপন রেখে ২২২১৯ নং দলিল দিয়ে নিজ নামে ৯০ এ আর এস রেকর্ড করে নেন। এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই তারা মিয়া বলেন, বিষয়টি আদালতে বিচারধীন। আদালতই সিদ্ধান্ত দিবে।তিনি সকলকে সংযত থাকার পরামর্শ দেন।

সেপ্টেম্বর ২৬,২০২২ at ১৭:১৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /মদপর /শই