দেহে গ্যাস্ট্রিক কমায় কয়েকগুণ, মুড়ির এমন ৫ উপকার আগে শোনেননি

ভাতের পরে যদি আমরা বাঙালিরা কোনো খাবার খেয়ে থাকি, সেটি হলো মুড়ি। রুটিও কিন্তু এত বেশি খাওয়া হয় না, যতটা মুড়ি খাওয়া হয়। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় মুড়ি থাকেই। চায়ের সঙ্গে মুড়ি, দুধের সঙ্গে মুড়ি, চানাচুরের সঙ্গে মুড়ি, গুড় দিয়ে মুড়ি। অনেকে তো মাংসের ঝোলের সঙ্গেও মুড়ি মিশিয়ে খেতে পছন্দ করেন!

মুড়ির জনপ্রিয়তার কারণে শুধু মুড়িমাখারই অসংখ্য দোকান গড়ে উঠছে। রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া ঝালমুড়ির কথা তো বাদই দিলাম। মুড়ি ভাজার বিষয়টি অনেক গ্রামে এখনও উৎসবের মতো বলে মনে হয়। চুলার পাশে বসে গরম গরম মুড়ি ভাজা খাওয়ার মজাই আলাদা। বেশিরভাগ বাড়িতে বিকেলের নাস্তার সঙ্গে থাকে মুড়ি। মুড়ি দিয়ে তৈরি করা যায় নানা স্বাদের মিষ্টান্নও।

চিকিৎসকরা বলছেন, একমুঠো মুড়ির গুণ একটি ওষুধের গুণের সমান! উপকরণটির মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ সারিয়ে ফেলতে পারে বিভিন্ন রোগ!

আরো পড়ুন :
প্রথম ম্যাচে জয়ের দেখা পেল বাংলার টায়গাররা

ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে মুড়ি। তাই অনেকেই মুড়ি এড়িয়ে চলেন। কিন্তু মুড়ির গুণও নেহাত কম নয়। প্রতিদিন মুড়ি খেলে ক্ষতির চেয়ে লাভের সম্ভাবনাই বেশি। মুড়ি শুধু স্বাদের জন্যই নয়, এর উপকারিতাও আছে অনেক।

মুড়ির নানা উপকারিতা জানলে হয়তো এটি খাওয়ার জন্য প্রতিদিন অভ্যাসই করে ফেলবেন। তাহলে জেনে নিন মুড়ির কী কী গুণ রয়েছে?

চিকিৎসকদের মতে, মুড়ি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেক কমে যায়। নিয়মিত মুড়ি খেলে পেটে অ্যাসিডের ক্ষরণে ভারসাম্য আসে। বাড়াবাড়ি রকমের অ্যাসিড হলে, মুড়ি পানিতে ভিজিয়ে খান অনেকে। তাতে দ্রুত অ্যাসিডের সমস্যা কমে।

মুড়িতে রয়েছে ক্যালসিয়াম আর আয়রন। এ ছাড়া মুড়ি চিবিয়ে খেতে হয়। এর ফলে দাঁত ও মাড়ির একটা ব্যায়াম হয়। তাই নিয়মিত মুড়ি খেলে হাড় ও দাঁত মজবুত হয়।

মুড়িতে ক্যালোরির মাত্রা অত্যন্ত কম। অল্প ক্ষুদা পেলে মুড়ি খেলে পেট ভরে যায়। ক্যালোরির মাত্রা কম বলে মুড়ি খেলে ওজন বাড়ে না। যারা হালকা খাবার হিসেবে নিয়মিত মুড়ি খান, তাদের পক্ষে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ পদ্ধতি এটা।

প্রতিদিন মুড়ি খেল নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে আপনার রক্তচাপও। এতে সোডিয়ামের মাত্রা কম। ফলে এটি খাওয়ার পরে পেট ভরলেও রক্তচাপ বাড়ে না। এ ছাড়া যাদের পেটের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে মুড়ি বিশেষ উপকারী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

কম ক্যালরির খাবার খাবেন, আবার পেটও ভরবে, যদি এমনই আপনার ইচ্ছা হয় তাহলে মুড়ি খেতে পারেন। মুড়ির গুনাগুন অনেক সারাদিন বাড়িতে, অফিসে যখনই হাল্কা ক্ষুধা পাবে, তখন মুড়ি খেয়ে নিলে ক্ষুধা মিটবে, ক্ষতিও হবে না।

সেপ্টেম্বর ২৬,২০২২ at ১২:৪৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /সবর /শই