জলবায়ু অবরোধ করেছে শ্যামনগরের সকল শ্রেণীর জনগণ

শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের সামনে শুক্রবার সকাল ১০ টায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর সহযোগিতায় শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম ও শ্যামনগর উপজেলা যুব ফোরামের আয়োজনে বিশ্ব জলবায়ু অবরোধ কর্মসূচী ২০২২ তে জলবায়ু অবরোধ করেছে।

উক্ত জলবায়ু অবরোধ কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম, আরও উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সদস্য ও সহকারী অধ্যাপক মানবেন্দ্র দেবনাথ, ফোরামের সদস্য, সাংবাদিক ও শিক্ষক রনজিৎ বর্মন, ফোরামের সদস্য ও ইউপি মহিলা সদস্য দেলোয়ারা বেগম, উপজেলা যুব ফোরামের সভাপতি মোমিনুর রহমান ও সম্পাদক মাকসুদুর রহমান মিলন, স্বরুফ ইয়থ টিমের নির্বাহী পরিচালক জান্নতুল নাঈম প্রমূখ।

জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব উপকূলীয় অঞ্চল তথা সারাবিশ্বের উন্নয়নের সকল পদক্ষেপকে প্রভাবিত করছে। উন্নত দেশগুলি গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমন করে জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে। বাংলাদেশ কোন ভূমিকা না রেখেও বেশী ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চল আরো বেশী ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা করা ও ক্লাইমেট জাস্টিস প্রতিষ্ঠার জন্য সুইডেনের স্কুল ছাত্রী প্রতিবাদী শিশু অগ্নিকন্যা গ্রেটা থানবার্গ এর ফ্রাইডেজ ফর ফিউচার, সারাবিশ্বের সাধারন জনগণ, যুব ও স্কুল ছাত্ররা জনসমাবেশ, র‌্যালী, মানববন্ধন ও পথসভা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় লিডার্স, শ্যামনগর জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম ও শ্যামনগর উপজেলা যুব ফোরাম সারাবিশ্বের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে বিশেষত বাংলাদেশের উপকূলীয় সমস্যা ও দাবিগুলি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে “বিশ্ব জলবায়ু অবরোধ কর্মসূচী উদযাপন” করছে।

প্রথমে তারা উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে একত্রিত হয়ে ব্যানার ও প্লাকার্ড প্রদর্শণ করে র‌্যালী বের করে। র‌্যালী থানা মোড় ঘুরে আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে মেইন রোড অবরোধ করে। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ছিল। অবরোধ শেষে শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে এই অবরোধের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

অবরোধে বক্তারা বলেন, “আমরা উপকূলে বাস করি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে আমরা নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। আজ যদি আমরা সচেতন না হই এবং আমরা আমাদের ক্ষয়ক্ষতি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে না পারি তাহলে ভবিষ্যতে আমরা ভয়াবহ বিপদের মধ্যে পড়ব। এজন্য সকলকে এই আন্দোলনের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করার আহবান জানাচ্ছি।

বক্তারা দাবী তুলে ধরে বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলকে দূর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ পুন:নির্মান করতে হবে, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আদলে উপকূলের একটি বাড়ি একটি শেল্টার প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে, উপকূলীয় সকল মানুষের খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধান করতে হবে, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলের সকল মানুষের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।