তালায় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অর্পিত সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

সাতক্ষীরার তালায় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অর্পিত সম্পত্তি দখল করে সেখানে পাকা ইমারত নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার গংগারামপুর এলাকার মৃত অস্বিনী রায়ের ছেলে তাপস রায় ঐ ইমারত নির্মাণ করছেন বলে জানানো হয়েছে।

অভিযোগে জানাগেছে, তালা উপজেলার ১৩৫ নং গংগারামপুর মৌজার এসএ ৩১৩ নং খতিয়ানের ১৬৬ দাগের .৫৪ একর বর্তমানে যা অর্পিত সম্পত্তি। ইতোপূর্বে ঐ সম্পত্তি ৪২৮/তালা ৭৭-৭৮ নং ভিপি ইজারা কেস বুনিয়াদে বর্তমানে অবৈধ দখলদার তাপসের পিতা অস্বিনী রায় গত ২৭/৩/২০১৯ পর্যন্ত একসনা ডিসিআর নিয়েছিলেন। যার নং ১০৯৮৩৪।

এদিকে অস্বিনী রায় তার ডিসিআর নবায়ন না করে উল্টো তার স্ত্রী সাবিত্রী রায় সমুদয় সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে সরকারের বিরুদ্ধে তালা সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করেন। যার নং-২৪৭/২০২১।

আরো পড়ুন :
ঠাকুরগাঁওয়ে সাবেক সাংসদকে ৩ জেলার সমন্বয়ক করায় সংবর্ধনা

সর্বশেষ সাবিত্রী রায় বাংলাদেশ সরকারকে বিবাদী করে হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন দাখিল করেন। যার নং ৭৪৫৮/২২। যার প্রেক্ষিতে আদালত উভয় পক্ষকে আগামী ৬ মাসের জন্য স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন। অথচ রীটকারী বাদী পক্ষ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে বিবাদমান সম্পত্তির অবৈধ দখলে রেখে সেখানে পাকা ইমারত নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন।

এব্যাপারে অভিযুক্ত তাপস রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদকের সাথে অপ্রীতিকর আচরণ করে বলেন, তিনি ঘর নির্মাণ করবেন। কারোর বাপের কিছু করার থাকলে ঠেকাও। এছাড়া তিনি হাইকোর্ট থেকে স্টে অর্ডার নিয়ে সেখানে ঘর নির্মাণ করছেন ওসব পেপারে লিখে কোন কাজ হবেনা ইত্যাদি—-বলেও ঔদত্য দেখান।

এ ঘটনায় স্থানীয় খলিলনগর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ইউএলএও) মো. মহসিন হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরআগে অন্তত দু’বার তাদের নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে ইটের ভীত ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এরপরও তারা আদালতসহ তাদের কথা অমান্য করে ১৯ সেপ্টেম্বর বিষয়টি অবগত ও প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য ১১৪ নং স্মারকে তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) কে অবগত করেছেন। যার অনুলিপি তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও প্রেরন করা হয়েছে। যেখানে তিনি উচ্চাদালতের নির্দেশনা অমান্য করে সরকারি ছুটির দিনে গত ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর পাকা ঘর নির্মাণের কথা উল্লেখ করেছেন বলেও জানান।

এব্যাপারে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস এর কাছে জানতে চাইলে তিনি তদন্তপূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) তাপস নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখলে খবর পেয়ে খলিলনগর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. মহসিন হোসেন ফের তাদের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে আশংকা করা হচ্ছে তারা রাতের আঁধারে সেখানে পাকা বসত-বাড়ির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।

সেপ্টেম্বর ২২,২০২২ at ১৯:৩৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /রজট /শই