সন্তানকে মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখুন

তথ্য প্রযুক্তির যুগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া আসলে কষ্ট। জীবনের তাগিদে নানা প্রয়োজনে এটি ব্যবহারের বিকল্প নেই। শিশু-কিশোর, প্রাপ্তবয়স্ক সবাই যোগাযোগ, বিনোদন, শিক্ষাসহ নানাবিধ প্রয়োজনে এটি ব্যবহার করে থাকেন। তবে এটি যেমন আমাদের জীবনের নানা প্রয়োজনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, তেমনই এটির অপব্যবহার একটি জীবনকে ধ্বংসের পথে ধাবিত করে দিচ্ছে। একটা সময় আমাদের সময় যেত পড়ার টেবিল ও বিকালে মাঠে সবাই সংঘবদ্ধ হয়ে খেলতে গিয়ে।

এখন সময় কাটে মোবাইল ফোনে ও বিভিন্ন গেমসে। ফলে আমাদের যেমন মানসিক ক্ষতি হচ্ছে, তেমন দৈহিক স্বাস্থ্যগত ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। মোবাইল ফোনের আসক্তের প্রবণতা মূলত শিশু ও কিশোরদের মাঝে বেশি লক্ষ করা যায়। ফলে নষ্ট হচ্ছে সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। দেখা যায়, ছেলে পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করত। স্কুল-কলেজ কখনো কামাই করেনি। সেই ছেলেও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আসক্ত হয়ে স্কুল-কলেজে না গিয়ে গেমস, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গান, ভিডিও, পর্নোগ্রাফি ইত্যাদির পেছনে সময় ব্যয় করছে।

আগে শিশু কান্না করলে বাবা-মা কুরআন তেলাওয়াত, গান, ছড়া ইত্যাদি শোনাত। আজকাল দেখতে পাওয়া যায় শিশু কান্না করলে বাবা-মা মোবাইল ফোনটি হাতে তুলে দেয়। তাছাড়া তাদের কাজের সময়ও মোবাইল ফোন হাতে রেখে চলে যায়। শিশু- কিশোররা মোবাইল ফোনে কি করে সেটি দেখার সময়ও তাদের নেই। ফলশ্রুতিতে দেখা যায়, ওই শিশুটি মোবাইলে এতটা আসক্ত হয়েছে, সে মোবাইল ও গেমস বাদে কিছু বুজে না।

এভাবে চলতে থাকলে জাতি হবে মেধা শক্তি ও কর্মক্ষমতাবিহীন। কারণ ফলে সময় কেটে যায় মোবাইল ফোনে। আমাদের দেশ, জাতি ও সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য তাদের নিকট হতে মোবাইল ফোনের দূরত্ব সৃষ্টি করা অতি জরুরি এবং এটির অপব্যবহার সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন করা। না হলে এর কঠিন ফল ভোগ করতে হবে।

লেখক: মাসুম শাহরিয়ার
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]