ইবি উপাচার্যের অফিস ভাঙচুর মামলায় অভিযুক্তদের মুক্তিলাভ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) উপাচার্যের একান্ত সচিবের অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলায় জামিন পেয়েছেন ইবি অস্থায়ী চাকুরীজীবি পরিষদের সভাপতি টিটো মিজান ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দার।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে মুক্তি পেয়েছেন তারা। মামলাটি পরিচালনায় সাহায্য করেন এ্যাড. বিকাশ কুমার, অ্যাডভোকেট সন্জয় কুমার ও এ্যাড. মিজানুর রহমান মিজু।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গত সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান বাদী হয়ে প্যানাল কোডের ১৪৩, ৪৪৭, ৩৪২, ১৮৬, ৪২৭ এবং ৫০৬ ধারায় ইবি থানায় মামলা দায়ের করেন।

মুক্তি পেয়ে অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদের সভাপতি টিটো মিজান বলেন, সত্যের জয় হয়েছে। মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ হবেনা। আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ কার্যক্রম চালিয়ে যাব।

তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র কাজপত্রের কাজ কতটুকু হয়েছে জানতে সেখানে উপাচার্য অফিসে অবস্থান করেছিলাম কিন্তু অফিসের সাথে কোন সংঘর্ষে আমরা যায়নি। এই বানোয়াট ও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বেশিদিন টিকবে না।

এ বিষয়ে অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দার বলেন, প্রশাসন কর্তৃক মিথ্যা মামলা থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেছি। আমাদের নিয়ে দীর্ঘদিন পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি রাজাকার পন্থী একদল। তারা আমাদের অস্থায়ী চাকুরী থেকে স্থায়ীকরণে পদক্ষেপ গুলোয় বাঁধা দিয়ে চলছে। এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা মামলা ছিলো।

তিনি আরো বলেন, আমরা সেদিন শুধু ভিসি স্যারের অফিসে গিয়েছিলাম আমাদের কাগজপত্রগুলোর খোঁজ খবর নিতে। সেখানে সিসিটিভি ফুটেজ আছে। আমাদের অন্যায় থাকলে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেতাম না। বরং আমরা যখন সেখানে খোঁজ নিতে যায় ভিসির একান্ত ব্যক্তিগত সচিব বঙ্গবন্ধু ও ছাত্রলীগকে ব্যঙ্গ করে কথা বলেছে। এছাড়াও ভিসির ব্যক্তিগত সহকারী আইয়ুব ও ষড়যন্ত্রকারী অন্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বিচার চাই বলে জানান তারা।

সেপ্টেম্বর ২১,২০২২ at ২১:৫৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /নম /শই