উওরায় ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে দখল বানিজ্য

ঢাকা ১৮ আসনের উপনির্বাচন হওয়ার পর থেকেই দখলের এক মহাউৎসব জমেছে ঢাকা ১৮ আসনে।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে এই দখলের উৎসবে নেমেছে কথিত নেতা দাবীদার ও চাঁদাবাজ চক্র।রাজধানীর উওরা ১১ ও ১৩ নং সেক্টর এলাকায় রাজউকের জায়গা দখল করে মাসে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই চক্রটি। রীতিমতো দোকানীদের কাছথেকে নেয়া হয়েছে এ্যাডভান্স এর টাকা।

জানাগেছে ১০ কোটি টাকা এ্যাডভান্স নিয়ে এই দোকানগুলো নিজেদের খরচে উঠিয়েছে ব্যবসায়ীরা। মাসে দোকান প্রতি ২৫ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পযর্ন্ত দোকান ভাড়া তোলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে ৫১ নং ওয়াড কাউন্সিল শরীফ বাহিনী। এই বাহিনীর মধ্যে অন্যতম,সাবেক ছাএলীগ নেতা বিপুল, জর্জমিয়া, সোহেল, প্রিন্স,পালচার জুয়েলসহ অনেকে। রাজউকের কিছু অসাধু কমকর্তা ও থানা পুলিশের সহযোগীতায় চলছে এই চাঁদাবাজি।ফার্নিচার মার্কেট নিয়ে বহু সংবাদ প্রকাশ হলেও টনক নাড়ছেনা এই চক্রটির।

আরো পড়ুন :
যবিপ্রবিতে নানা কর্মসূচিতে বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস পালন

উওরা আজমপুর এলাকার বিডি আর কাঁচাবাজারের এই একি চিত্র দেখা গেছে, দোকান প্রতি মালিক সমিতি নামে দুটি চাঁদাবাজ গ্রুপ প্রতিমাসে ১০ লক্ষটাকার উপরে চাঁদা তুলছেন এই মার্কেট থেকে। রাজউকের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে আরো ৩ বছর আগে এই মার্কেট ভাঙ্গার নোটিশ আসে কিন্তু চাঁদাবাজ চক্রটি এত সক্রিয় যে হাইকোর্ট থেকে একটি রিট করার কারণে বাজারটি ভাঙতে পারছেন না রাজউক।এই সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করে আলীরাজ, সাওন, খালেক, মতিউল হক মতি।

একজন ব্যবসায়ী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি মার্কেট দখল নিয়ে চাঁদাবাজি করছে। কোন শক্তির বলে এরা অবৈধ ভাবে মার্কেট দখল করে বাণিজ্য করছে।

তত্তাবোধক সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন অবস্থায় বি ডি আর রা বতমানে বিজিবি এই মার্কেটটি নির্মান করে ছিলেন এবং নিত্য সামগ্রী পণ্য ন্যায্যমূল্যে মানুষকে দিয়ে ছিলেন।তত্তাবোধক সরকার ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পরেই এই চক্রটি দখল নেয় এই মার্কেট।আব্দুল্লাহপুরের বেড়ীবাঁধের নিচে প্রায় ৫ বিঘা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে বসানো হয়েছে মাছের আড়ৎ। মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে এ্যাডভান্স।দোকান প্রতি ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে পজিশন। প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা তুলছেন ভাড়া। এই সিন্ডিকেটটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ চাঁদবাজি করে আসছে।

মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা একটি স্টাম্পে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে টাকা দিয়েছি অরুণ ও তরুণ সাহেবকে। ৪৭ নং ওয়াড কাউন্সিল মোতালেব মিয়াও সাক্ষী হিসেবে সাক্ষর করেছেন। আমরা টাকা দিয়ে দোকান বসিয়েছি।

আব্দুল্লাহপুর এলাকার একজন দোকানী বলেন, গত দুই বছর আগে একবার অভিযান পরিচালনা করে ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর পর থেকে আর কোন অভিযান হয়নি।

উওরা ১০ নং সেক্টর বেড়িবাঁধের দক্ষিণপাশে প্রায় ৩০ কাঠা জমির উপরে তৈরি করেছে কাঁচা বাজার, বিশাল আড়ৎ। জানাগেছে এই জায়গার মালিক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।সাবেক চেয়ারম্যানের পুএ নাজমুল, কাউন্সিলর যুবরাজসহ বেশ কয়েকজন মিলে এই বাজারের মাসিক চাঁদা তোলেন। তুরাগ খালপাড় এলাকায় বেড়িবাঁধের উওর পাশে রাজউকের একটি জায়গায় তোলা হচ্ছে মার্কেট, এক একটি দোকান ভাড়া দেয়া হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকায়। এ্যাডভান্স নেয়া হয়েছে ১০ লক্ষটাকা করে। এই মার্কেটটি নিয়ন্ত্রণ করেন মুরাদ নামে এক চাঁদাবাজ।

নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানাযায়, ফার্নিচার মার্কেট থেকে সাংবাদিকদের নামকরে চাঁদা আসে ৫০ হাজার টাকা। বিডিআর মার্কেট থেকে আসে ২০ হাজার টাকা।আব্দুল্লাহপুর মাছ বাজার থেকে আসে ৪০ হাজার টাকা। কিছু টাকা রাজউকের অসাধু কিছু ব্যাক্তি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসাধু কিছু ব্যাক্তি, পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা হয় বলে শুনা যায়।

এ বিষয়ে উত্তরা প্রেস ক্লাবের প্রথম সেশনের সভাপতি মো. রাসেল খানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন এ সকল জায়গা থেকে আমাদের ক্লাব কোন টাকা পয়সা পায়না। বর্তমান সভাপতি রফিকুল ইসলাম ফোনটি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সেপ্টেম্বর ১৭,২০২২ at ১৮:৩৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /রক /শই