মহম্মদপুরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি উঁচুনিচু-ভাঙাচোরা ভোগান্তির শিকার শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী

দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও গোরস্তানে যাতাযাতের একমাত্র সড়কের পুরাটায় খানাখন্দে ভরে গেছে। সংস্কারের অভাবে ইটের সলিং ভেঙে পুরারাস্তাটিই উঁচুনিচু ও ভাঙবচোরা। জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি ভাঙাচোরা হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্থানীয় বসবাসকারী প্রায় পাঁচশ পরিবারের লোকজন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আশা চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও গোরস্তানে আশা নানা শ্রেনিপেশার হাজারো মানুষ।

গত বৃহস্পতিবার সকালে এই সড়ক দিয়ে যাতাযাতের সময় দূর্ঘটনার শিকার হয় স্থানীয় একজন প্রতিবন্ধি। সড়কটি উঁচুনিচু ও ভাঙাচোরা হওয়ায় দুলাল বিশ্বাস নামের বয়স্ক এই প্রতিবন্ধি হুইলচেয়ার থেকে রাস্তার ভাঙনে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে হুইলচেয়ার বসিয়ে মেইন সড়কে পৌছে দেন।

ছোট হলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। যেহেতু সড়কের মাথায় রয়েছে উপজেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ-গোরস্থান, বীরেন শিকদার স্কুল এন্ড কলেজ, কারিগরি কলেজ, বরকতিয়া এস এ আর দাখিল মাদ্ররাসা ও এতিমখানাসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষাকরা এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। চরম ভোগান্তি পোয়াতে হচ্ছে ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ বা জানাযা নামাজ পড়তে আশা এবং গোরস্তানে দাফন সম্পন্ন বা কবর জিয়ারত করতে আশা বিভিন্ন শ্রেনিপেশার শতশত মানুষের।

আরো পড়ুন :
তোমাদের কত বড় সাহস? সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কুবির উপাচার্য

খানাখন্দে ভরা এই সড়কটি চলাচলে যেমন দূর্ভোগ। তেমনই সমস্যায় পড়ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, কৃষক, ভ্যানচালক ও অসুস্থ্য ব্যক্তিরা। এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে চরম দূর্ভোগ পোয়াতে হয়। আবার কোনো ব্যক্তি অসুস্থ্য হলে তাদেরকে উপজেলা সদরে বা জেলা হাসপাতালে নিতে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক মো. নওশের আলী বলেন, তাঁদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে নিতে হয়। কিন্তু এই ভাঙাচোরা সড়কের কারণে ভ্যান বা নছিমন চালকেরা যেতে চান না। আর তাই দ্রুত এই সড়কটি মেরামতের দাবী জানান তাঁরা।

বরকতিয়া এস এ আর দাখিল মাদ্ররাসার সহকারী শিক্ষক মো. নুর ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটির এই বেহাল অবস্থা। এতে এলাকার কৃষক, ভ্যানচালক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সর্বসাধারণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সর্বসাধারণের কথা ভেবে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন।

কেন্দ্রীয় ঈদগাহ-গোরস্তান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান কাবুল জানান, ঈদগাহ-গোরস্তান কমিটির পক্ষ থেকে রাস্তাটি মেরামতের জন্য উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরে গিয়েছিলাম। প্রকৌশলী মহোদয় ১০ ফুট প্রস্থ করে ৭শ ২০ ফুট রাস্তা করে দিবেন বলে শতভাগ নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদ্দাম হোসাইন জানান, ঈদগাহ-গোরস্তান কমিটি অফিসে এসেছিল। যেহেতু এই সড়কে ঈদগাহ-গোরস্তানসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাই সড়কটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৭শ ২০ ফুট সড়ক করার জন্য একটি বাজেট দিয়েছি। ৮ ইঞ্চি ঢালায় দিয়ে করা হবে সড়কটি। যার প্রস্থ হবে ১০ ফুট। আশা করছি খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে।

সেপ্টেম্বর ১৭,২০২২ at ১৮:০৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /ইজ /শই