হত্যা মামলার আসামী যখন মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ

মেজর জেনারেল এম এ মঞ্জুর হত্যা মামলার আসামির তালিকা থেকে জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফকে বাদ দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ দুই আসামি মারা যাওয়ায় তাঁদের আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার এ আদেশ দেওয়া হয়।

সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই মারা যান। গত বছর মারা যান ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান আবদুল লতিফ। এখন তিন অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি থাকলেন মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামস ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন।

আলোচিত এই মামলার আসামি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন। বর্তমানে মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।তবে কিভাবে এই কলেজের অধ্যক্ষ হলেন তা নিয়ে চলছে কানাঘুষা।

আরো পড়ুন :
বদলগাছীতে চালককে মারপিট করে চার্জার ভ্যান ছিনতাই

শিক্ষাবিদরা বলছেন, একজন খুনের মামলার আসামী কিভাবে মহান পেশার সাথে যুক্ত হলেন।শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড।শিক্ষা পেশাকে ক্ষতিগ্রস্ত ও কুলুষিত করা হচ্ছে।

অএ কলেজের সাবেক এক শিক্ষক তার নানা অনিয়ম ও অপকর্মের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেন মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে।

অভিযোগ পএে লেখা আছে,তার পাঁচ মাসের একটি সন্তান খাট থেকে পরে গিয়ে মাথায় আঘাত পায়। কলেজের সকল নিয়ম অনুযায়ী ২ দিনের ছুটি নেন তিনি।ছুটি শেষে কলেজের আসলে তাকে অবৈধ ভাবে অব্যাহতি পএ দেন কলেজের অধ্যক্ষ।

তিনি আরো লিখেন কিছুদিন আগেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরিক্ষা কেন্দ্রে বোর্ডে বিষয় কোর্ড না লেখার কারণে প্রায় ৪০ জন শিক্ষকের ৭ দিনের বেতন এবং বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানের ৩ দিনের বেতন কর্তন করেন।উনি প্রভাষকদের বেতন ১৪০০০ টাকা নির্ধারন করে দিয়েছেন কিন্তু কাগজ কলমে তা ২২০০০ টাকা দেখান।

এই ধরনের মানসিক ভারসাম্যহীন খুনের মামলার আসামী ও সমাজ বহিভূর্ত ব্যবহারকারী ব্যক্তি কোন ভাবেই শিক্ষকতার মহান পেশাতে জড়িত থাকা কাম্য নয়। তারমতো নরপশু মানব সমাজের তো নয়ই বরং পাগলা গারদে প্রেরন করা উচিত।

এই বিষয় মাইলস্টোন কলেজের এডমিন মাসুদ আলমকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই।পরবর্তীতে আর তিনি ফোন ধরেন না।

সেপ্টেম্বর ১৪,২০২২ at ২০:০০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /রক /শই