প্রতিমা তৈরির কাজে অতিব্যস্ত বীরগঞ্জের মৃৎশিল্পীরা

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আর কিছু দিন পর শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব, তাই ঘরে ঘরে দেবী দুর্গার আগমনীর বার্তা। এবার বীরগঞ্জ উপজেলার একটি পৌরসভার কেন্দ্রীয় মন্দিরসহ ৯টি পূজামণ্ডপসহ ১১টি ইউনিয়নের ১৬০টি মণ্ডপে পূজা অর্চনা অনুষ্ঠিত হবে।

এজন্য মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন অত্র উপজেলার মৃৎশিল্পীরা। আগামী ১ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে শুরু হবে এ পূজা এবং ৫ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জ্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এ অনুষ্ঠান।

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্যে দিয়ে শুরু হবে দেবীর শুভ সূচনা। এবার দেবীর আগমন ঘটবে গজে চরে এবং গমন ঘটবে নৌকায়। তাই ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে হবে বোধন ও ষষ্ঠী বিহিত পূজা। পর দিন ২ অক্টোবর মহাসপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গাপূজার মূল অনুষ্ঠান।

আরো পড়ুন :
সাভারে তৈরি সুতার কারখানায় আগুন

৩ অক্টোবর মহা অষ্টমী এবং ৪ অক্টোবর মহানবমী পূজা। ৫ অক্টোবর মহাদশমী বা বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপে ঘুরে দেখা যায়, কাঁদা-মাটি, বাঁশ, খড় দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় গড়ে তোলা দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা গড়ার কারিগররা।

উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে অঞ্চলের সিংহজানী পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ধনজ্জয় শর্মা জানান, এবছর প্রতিমা এবং শারদীয় দুর্গাপূজা বাজেট ধরা হয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকা। তিনি আরও জানান, নমো নমো করে করলেও বর্তমানে পূজাতে খরচ হয় দেড় লক্ষ টাকা। সরকার যে চাল দেয় তা বিক্রি করে পাই ১৫/২০ হাজার টাকা। বাকি এক লক্ষ বিশ /পঁচিশ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ আজকে না হয় করছি, দশ বছর পর করব কেমনে? যখন পূজা ৩২ হাজার থেকে বেড়ে ১ লক্ষ হবে, সরকারী সাহায্য তখন ভাগ হয়ে যাবে হবে পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকায়। পারবেন পূজা করতে?

অন্যদিকে উপজেলা শিবরামপুর ইউনিয়নের উত্তর মুরারীপুর কালিতা ১৪৩(৫৭) নং সরকারি প্রাথমি বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে বিশাল মণ্ডপ এবং প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়েছে। বীরগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মহেশ চন্দ্র রায় বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে এবার স্বাস্থ্যবিধির কঠোর নির্দেশনা না থাকায় গতবারের তুলনায় এবছর ব্যাপক উৎসব উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব পালিত হবে।

বীরগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার বলেন, পূজা মন্ডপগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা থাকবে। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটতে দেয়া হবে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিনাত রেহানা বলেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত পেলে আইন শৃঙ্খলা মিটিং এর মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন কাজ করবে।

সেপ্টেম্বর ১৪,২০২২ at ১৪:০৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /পদ /শই