পিকআপের ভরে ভেঙ্গে পড়েছে পাইকগাছার নাছিরপুর খালের উপর নির্মিত ব্রীজ

মাত্র ২০ বছরে ধ্বসে পড়েছে পাইকগাছার কপিলমুনির নাছিরপুর খালের উপর নির্মিত ফুট ব্রীজটি। গত রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাছের পোনাবাহী একটি পিকআপ ব্রীজের উপর উঠলেই হুড়-মুড়িয়ে মাঝ বরাবর ভেঙ্গে পড়ে ব্রীজটি।

বিস্তীর্ণ অঞ্চলের প্রায় ৩ কি:মি: দৈর্ঘ্যরে নাছিরপুর খালের দু’পারে বসবাসকারী কয়েক গ্রামের বাসিন্দাদের সার্বিক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই ফুট ব্রীজ। দু’পারের বসবাসকারী ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে ব্রীজটিই একমাত্র ভরসা।

খালের এ পারে তালতলা ও পারে গোয়ালবাথান-চিনিমলা এপারে অবস্থিত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক আর ওপারে ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত ১০ নং জি.টি.চিনিমলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এপারের বাসিন্দাদের চা খেতেও ওপারের দোকানগুলোর আশ্রয় নিতে হয়।

আরো পড়ুন :
পাইকগাছায় আর আর এফ এর ফ্রী চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

এছাড়া লোনা পানি অধ্যুষিত দ্বীপাঞ্চলের রোদে পোড়া বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকার বেসাতিতে উপ-শহর কপিলমুনি কিংবা উপজেলা সদর পাইকগাছা পৌছাতে ভর করতে হয় এই ফুটব্রীজে। মাত্র দুই রাতেই আজ সব মাধ্যমই যেন ইতিহাস।

দুরন্তপনায় ডানা মেলে থাকা শিশুরা এ-পারে দাঁড়িয়ে ও-পারের শিশুদের খেলা করা দেখছে। সোমবার ও মঙ্গলবার প্রত্যুষে স্কুলে যেতেও পারাপারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে পারাপারের জন্য মাধ্যমের। অনেকের আবার পৌছানো হয়নি প্রিয় বিদ্যাপীঠে। এভাবেই কেটেছে ব্রীজ বিহিন প্রথম ও দ্বিতীয় দিন।

ব্রিজের গায়ে সাটা ফলকে জানাগেছে, স্বল্প ব্যায়ে গ্রামীণ সড়কে পূল/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে ৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যায়ে ২০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ফুট ব্রীজটি নির্মাণ করে। ঠিকাদার সৈয়দ মিনার হোসেন কার্যাদেশ পেয়ে ২০০০ সালের ১৫ মে এর নির্মাণ কাজ শেষ করেন।

এদিকে ব্রীজটি নির্মাাণের মাত্র ২০ বছরে ভেঙ্গে পড়ায় এর নির্মাণ মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সর্বশেষ এলাকাবাসী খালের উপর পূণ:ব্রীজ নির্মাাণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি খুলানা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) সংসদ সদস্য আলহাজ্জ্ব আক্তারুজ্জামান বাবুর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সেপ্টেম্বর ১৪,২০২২ at ১১:১৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /ইদ /শই