শরতের শুভ্রতায় সেজেছে লাল মাটির ক্যাম্পাস কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

ঋতুর রাণী শরৎ আর শরৎ মানেই কাশফুল। শহরের ইট, কাট, পাথরের অবকাঠামোই বন্দি জীবনের যন্ত্রণা ভুলে কাশফুলের শুভ্রতায় মোহিত হয় নাগরিক মন। মাথার উপরে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর নিচে কাশফুলের ছোঁয়ায় দূর হয় সব ক্লান্তি। আর কাশফুল হলো শরতের আগমনী বার্তা।

শরতে আকাশের নরম নীল ছুঁয়ে শিমুল তুলার মতো ভেসে চলা সাদা মেঘের ভেলা, প্রভাতের শিশিরভেজা শিউলি, দূর্বাঘাসে শিশিরের ফোঁটা, নদীতীর বা বনের প্রান্তে কাশফুলের সাদা এলোকেশের দোলা-বাংলার শরতের প্রকৃতির এমনই মন ভোলানো দান। শরতের নীল আকাশে সাদা মেঘের আনাগোনা। কাশফুলের শুভ্রতায় বিমোহিত সবাই।

আরো পড়ুন :
বর্ধিত সভায় সাবেক সংসদ সদস্যের মাইক্রোফোন কেড়ে নিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য

শুধু কি তাই! ভেসে বেড়ানো মেঘের প্রান্ত ছুঁয়ে উড়ে চলা পাখপাখালির ঝাঁক, বাঁশবনে ডাহুকের ডাকাডাকি, বিলঝিলের ডুবো ডুবো জলে জড়িয়ে থাকা শালুক পাতা, মোহনীয় চাঁদনী রাত, আঁধারের বুক চিরে জোনাকির রুপালি সেলাই-কী নেই এ ঋতুর কাছে।

হয়তো এ জন্য বলা হয়ে থাকে, প্রকৃতিতে শরৎ আসে ‘নববধূর মতো।’ শরৎ প্রকৃতির মোহনীয় রূপ বর্ণনায় জাতীয় কবি লিখেছেন, ‘কাশফুল মনে সাদা শিহরণ জাগায়, মন বলে কত সুন্দর প্রকৃতি, স্রষ্টার কি অপার সৃষ্টি।’ আর কবি জীবনানন্দ দাস লিখেছেন, ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে চাই না আর’।

আর এই শরতের কাশফুলের আগমন ঘটেছে বাংলাদেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ লাল মাটির ক্যাম্পাস কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতিটি ঋতুতে নতুন সাজে সেজে উঠে এই বিদ্যাপীঠ। ঠিক তেমনি শরতের শুভ্রতায় সেজে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠের আঙ্গিনায়, ছোট ছোট টিলা গুলিতে এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে ফুটেছে কাশফুল।

কাশফুলের বাতাসে দোল খাওয়ার দৃশ্য যেন মন কেড়ে নেয় সকলের।কৃষ্ণচূড়া রাস্তা নিয়ে শহীদ মিনার অভিমুখে রওনা দিলে শরতের কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। সে সৌন্দর্য শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরই না বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের প্রকৃতি প্রেমিদের আকৃষ্ট করছে। আর এই সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য পড়ন্ত বিকালে আগমন ঘটছে প্রকৃতি প্রেমিদের। গোধুলি লগ্নে সূর্যের লাল আভা আর কাশফুলের শুভ্রতায় সকলের মন ছুঁয়ে যাচ্ছে।

সেপ্টেম্বর ১৩,২০২২ at ১৪:১৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /তর /শই