কুবিতে ডিবেটর সার্চে বিজয়ী ইংরেজি বিভাগ

নবীন বিতার্কিকদের নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির বিতর্ক প্রতিযোগিতা ‘৫ম ডিবেটর সার্চ -২০২২’র ফাইনাল ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। ‘ডিবেটর সার্চ’ টুর্নামেন্টে বিজয়ী হয়েছেন ইংরেজি বিভাগ।

সোমবার (১২সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স রুমে ডিবেট সার্চের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনালে সরকারি দল ছিলো ইংরেজি বিভাগ এবং বিরোধী দল ছিলো ফার্মাসী বিভাগ। বিতর্কে বিরোধী দলকে (ফার্মাসি বিভগকে) হারিয়ে সরকারি দল (ইংরেজি বিভাগ) বিজয়ী হয়েছেন। বিতর্কে সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হয়েছেন সরকার দলের প্রধানমন্ত্রী নাদিয়া তাবাসসুম।

বিতর্ক শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আল নাঈমের সভাপতিত্বে এবং মো. তরিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় পুরুষ্কার বিতরনীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কমুল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আবদুল মঈন এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির,

আরো পড়ুন :
ভারতে পাচারের শিকার ৭ নারীকে ৩ বছর পর বেনাপোলে হস্তান্তর

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড মো. আসাদুজ্জামান, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ড.মো. হাবিবুর রহমান, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মঈনুল হাসান, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মাহবুব।

সভাপতির বক্তব্যে আল নাঈম বলেন, কুবিতে বিতর্ক শুরু হয় ২০১২ সালে। বিভিন্ন চড়াই উতরাই পার করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি আজকে জাতীয় পর্যায়ে টিভি বিতর্কে সাফল্যের অবদান রেখেছে। বিতর্ক করতে বই দরকার কিন্তু আমাদের বই রয়েছ মাত্র ১৮টি।

আমাদের রুম দেওয়া হলেও আমাদের কার্যনিবার্হী পরিষদের সদস্যদেরও জায়গা হয় না। জাতীয় বিতর্ক করতে গেলে দরকার হয় বাজেট। আমাদের বাজেটের সল্পতা রয়েছে। মাননীয় উপাচার্যকে অনুরোধ করবো বাজেটের দিকে নজর দেওয়ার জন্য। উপস্থিত প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিসহ সকলকে ধন্যবাদ আমাদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো. হুমায়ুন কবির বলেন, যুক্তির চর্চা যারা করেন তারা শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী। আমার দুইটা পরিচয় একটা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরেকটা ছাত্রজীবনে জড়িত থাকা সংগঠন গুলোর কর্মী। সুতরাং আমি বলবো সংগঠনের অনেক টানাপোড়েন থাকে তবুও বিতর্ক চালিয়ে নিতে হবে। টানাপোড়েনর মধ্যে এগিয়ে যেতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো কিছু করতে হলে কালচার সৃষ্টি করতে হবে। আমরা যখন ফার্স্ট স্টুডেন্ট গুলোকে নিয়োগ দেয় শিক্ষক হওয়ার পর কেনো গবেষণা ছেড়ে দেয়। আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে গবেষণার কালচারের অভাব। তাই কালচার সৃষ্টি করতে হবে। যখন গবেষক সৃষ্টি হবে সমাজে তার এমন পরিবেশ তৈরি করবে যা গবেষণার জন্য উপযোগী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমি খুব আনন্দিত এত মানুষকে দেখে এই রুমে। আমার মতে দুই দলই বিজয়ী। আমি মুগ্ধ হয়ে দেখলাম যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি গুলো।

সরকারের দলের প্রধানমন্ত্রী বিতর্কে বললেন রিসার্চ দরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নতি করতে আমি তার সাথে একমত পোষণ করি। আমি আল নাঈমের দাবি গুলো শুনলাম এবং আমি আস্বস্ত করছি তা পূরণ করেবো। আমদের অনেক কিছুর সল্পতা আছে কিন্তু আমি বলবো আমাদের বাজেটেরও সল্পতা রয়েছে।

সেপ্টেম্বর ১২,২০২২ at ২০:০৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /মব /শই